—প্রতীকী চিত্র।
কম্পিউটার, মোবাইল ফোন-সহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিন যন্ত্র বা যন্ত্রাংশের হার্ডওয়্যার তৈরির পরিসরে এখন আর বৈদ্যুতিন প্রযুক্তির নকশা বানানোর ক্ষেত্র সীমাবদ্ধ নেই। গাড়ি থেকে ঘড়ি— আরও বেশি তথ্যের আদানপ্রদান আধুনিক সমাজে ডিজিটাল প্রযুক্তির বিস্তার ঘটাচ্ছে। সে সবের হাত ধরে সার্বিক ভাবে প্রসারিত হচ্ছে বৈদ্যুতিন প্রযুক্তির নকশা তৈরির কর্মকাণ্ডও। তাই সে ক্ষেত্রে সেমিকনডাক্টর প্রযুক্তি ও শিল্পের চাহিদাও বাড়ছে। যা ভারত-সহ গোটা বিশ্বের শিক্ষা ও শিল্প ক্ষেত্রকে নতুন করে ভাবাচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে চর্চা করতেই ৬-১০ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আসর বসছে কলকাতায়।
বুধবার আয়োজকদের তরফে অধ্যাপক হাফিজ়ুর রহমান, অধ্যাপক অম্লান চক্রবর্তী এবং শিল্পমহলের দুই অন্যতম কর্তা অনুপম দত্ত ও অর্ঘ্যজিৎ বসু জানান, এটি ৩৭তম ভিএলএসআই ডিজ়াইন (ভেরি লার্জ-স্কেল ইন্টিগ্রেশন ডিজ়াইন) সম্মেলন। যা মূলত সেমিকনডাক্টর নির্ভর। ১৯৯৪ সালে প্রথমবার এবং পরে আরও দু’বার কলকাতা এই সংক্রান্ত শিল্প সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এ বার ফের রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সহায়তায় এই শহরে বসবে সেই আসর। শিক্ষক, পড়ুয়া, বিশেষজ্ঞ ও শিল্পমহলের প্রতিনিধি মিলয়ে প্রায় ১২০০ প্রতিনিধি অংশ নেবেন। পড়ুয়ারা এই ক্ষেত্রের নতুন পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাবেন। বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ ও প্রতিনিধিরা যোগ দিচ্ছেন।
অম্লানবাবুর বক্তব্য, আগে একটি কম্পিউটারে যে ক্ষমতা (মেমরি) ছিল, এখন একটি মোবাইলের ক্ষমতা তার চেয়ে বেশি। পাশাপাশি ডিজিটাল প্রযুক্তির হাত ধরে এখন দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত নানা পণ্য, চিকিৎসার যন্ত্রে অনেক বেশি তথ্যের একসঙ্গে আদানপ্রদান এবং বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ফলে একাধিক কাজের জন্য তৈরি ‘চিপে’র (সেমিকন্ডাক্টর দিয়ে তৈরি) মধ্যে আগের থেকে অনেক বেশি সমন্বয়সাধন করতে হচ্ছে। তাই সেই নকশা তৈরিতেও বিবর্তন ঘটছে। এই সম্মেলনে সে সব নিয়েই চর্চা হবে।