ফাইল চিত্র।
জমে পাহাড় হয়েছে ব্যাঙ্কের বাতিল করা বা বাউন্স হওয়া চেক সংক্রান্ত মামলা। শুক্রবার সেগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এ জন্য কেন্দ্রকে সাময়িক ভাবে বিশেষ আদালত গঠনের পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ। গোটা প্রক্রিয়াটি চালাতে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছে তারা।
দেশের বিভিন্ন আদালতে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চেক বাউন্সের প্রায় ৩৫.১৬ লক্ষ মামলা ঝুলে। যাকে ‘হাস্যকর’ তকমা দিয়ে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ বলে, দ্রুত সেগুলির মীমাংসা করতে একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত এক বছরে বিভিন্ন আদালতে একাধিক চেক বাউন্সের মামলা ঝুলে থাকলে, সবক’টি একসঙ্গে করে শুনানি চালাতে হবে। সে জন্যও আইনের সংশোধন জরুরি। অভিযোগের বিষয়ে আদালত তদন্তের ব্যবস্থা করবে। তবে তা পাওয়ার পরে সমন জারির আগে তদন্তের সময় অভিযোগকারীর সাক্ষ্য হলফনামা হিসেবে রেকর্ড করাতে হবে।
চেক বাউন্স হওয়ার কারণ যদি সেটি প্রদানকারীর গাফিলতি হয়, সে ক্ষেত্রে তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। যার বিচার চলে ‘নেগোশিয়েব্ল ইনস্ট্রুমেন্ট’ আইন অনুযায়ী। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এ দিন তাদের আগের এক রায় বহাল রেখে এটাও বলেছে, চেক বাউন্সের মামলায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সমন পাঠিয়ে ডাকার ক্ষমতা ট্রায়াল কোর্টের নেই।
শীর্ষ আদালত বলেছে, চেক বাউন্সের বকেয়া মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে তিন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ নিজে থেকেই মামলা হাতে নেবে। গত মাসে দ্রুত নিষ্পত্তির পদক্ষেপ সুপারিশ করতে তিন সদস্যের কমিটি গড়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।