আমাদের জীবন যাপনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড। ফাইল চিত্র।
আমরা এখন ইন্টারনেট অথবা মোবাইল পেমেন্ট ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। আর আমাদের জীবন যাপনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড। টাকা তোলা থেকে যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের এখন অন্যতম অঙ্গ এই কার্ড। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না, এই লেনদেনকে সুরক্ষিত রাখার জন্য কী কী ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। যেমন কার্ডের ক্ষেত্রে দ্বিমাত্রিক এবং ত্রিমাত্রিক সুরক্ষা ব্যবস্থা।
আমরা যখন কার্ড ব্যবহার করে ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেন পোর্টালে মারফত দাম চোকাই তখন সেই লেনদেনকে সুরক্ষিত রাখে দ্বিমাত্রিক বা ত্রিমাত্রিক সুরক্ষা ব্যবস্থা। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে অনেক ব্যাঙ্কই আপনার কাছে অনুমতি চায় তার ব্যবহারের কিন্তু প্রথমটি কার্ড ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গেই চালু হয়ে যায়।
আসুন দেখে নেওয়া যাক এই দুই ব্যবস্থা কী।
দ্বিমাত্রিক বা ২ডি ব্যবস্থা
আলোচ্য দু’টি ব্যবস্থাই পেমেন্ট পোর্টাল নির্ভর। ধরুন আপনি কিছু কিনছেন বা কোনও দাম চোকাচ্ছেন। যখন দাম চোকাতে যাবেন, তখন আপনার সামনে একটি পাতা খুলে যাবে যাকে পেমেন্ট পোর্টাল বলে। এটি সুরক্ষিত। এখানে আপনার কার্ডের তথ্য ভরার পরে পোর্টালে আপনার কার্ডের পিছনে লেখা তিন সংখ্যার কোডটি যাকে সিভিভি বলে সেটি লিখে দিতে হয়। আর তার পরে নির্দিষ্ট বোতামটি টিপলেই আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চলে যায় বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে।
ত্রিমাত্রিক বা ৩ডি ব্যবস্থা
এতে সুরক্ষা পদ্ধতিটি এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপনি দ্বিমাত্রিক ব্যবস্থার মতোই সব দিলেন। তার পর আপনার যে মোবাইল নম্বরটি আপনার সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত সেখানে ওটিপি আসবে। আপনাকে সেই ওটিপি ভরে দিতে হবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। আর সেই সংখ্যাটি ভরে দেওয়ার পরেই আপনার লেনদেন অনুমোদিত হয়ে অপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা বিক্রেতার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।
এই ত্রিমাত্রিক ব্যবস্থায় অবশ্য একটা অসুবিধা আছে। ভারতের বাইরে অনেক দেশই এই ত্রিমাত্রিক ব্যবস্থা এখনও চালু করেনি। যেমন, অস্ট্রেলিয়া। এই ব্যবস্থায় লেনদেনের খরচ বাড়বে এই যুক্তিতে। তাই মাথায় রাখবেন বিদেশ ভ্রমণের আগে যে দেশে যাচ্ছেন সে দেশে এই ব্যবস্থা চালু আছে কিনা জেনে নিন। না হলে আপনার লেনদেনের অসুবিধা হতে পারে।