প্রথম তিন স্থান অর্জন করেছে অংশু তিওয়ারি, অভিনব শ এবং দিব্যাঙ্কা সাহু
সম্প্রতি আইসিএসই বোর্ডের ফলপ্রকাশ হয়েছে। গোটা বাংলা থেকে এসেছে নজরকাড়া সাফল্য। প্রতি বছরের মতো এই বছরেও সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলের শিক্ষার্থীদের ফলাফল হয়েছে চোখে পড়ার মতো। এই বছর স্কুল থেকে মোট ৭৯ জন পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মধ্যে প্রথম তিন স্থান অর্জন করেছে অংশু তিওয়ারি, অভিনব শ এবং দিব্যাঙ্কা সাহু। অন্যান্যদের ফলাফলও বেশ ভাল। শিক্ষার্থীদের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত সেন্ট ফ্রান্সিস অ্যাকাডেমির শিক্ষক, শিক্ষিকারাও। তাঁদের মুখেই উঠে এল তিন শিক্ষার্থীর সেই সাফল্যের সাতকাহন।
এই বছরের আইসিএসই পরীক্ষায় অংশুর প্রাপ্ত নম্বর ৯৮.২ শতাংশ। অংশুর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্কুলের শ্রেণী শিক্ষিকা জানালেন, “অদম্য জেদ, অধ্যাবসায় ও লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য দৃঢ় মনবালের এক প্রতিভু হল অংশু। পড়াশোনার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের হেড গার্ল হিসাবেও সকল দায়িত্ব পালন করেছে সে। কোনদিনই তার এই দু’য়ের মধ্যে ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়নি। তার বিনয়ী ব্যবহার, পরিশ্রম এই সব কিছুই তার এই সাফল্যের মূল কারণ।”
অভিনব অবশ্য বরাবরই সকল শিক্ষক ও শিক্ষিকার পছন্দের তালিকায় প্রথম। কারণ তার শান্ত ও মনোযোগী স্বভাব। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জানাচ্ছেন, “পড়াশোনা হোক বা যে কোনও বিষয়ের প্রতি জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা— অভিনবের নিত্য সঙ্গী হল বই। দীর্ঘ দিন ধরে তার পরিশ্রম ও মনোনিবেশের ফল হল তার এই রেজাল্ট।” আইসিএসই-তে অভিনবের প্রাপ্ত নম্বর ৯৩.৮ শতাংশ। সেই সাফল্যকে পাথেয় করে আগামী দিনে তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সকলে।
দিব্যাঙ্কার প্রতিও প্রায় একই প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সকলের কাছেই দিব্যাঙ্কা প্রাণোচ্ছ্বল, বাকপটু। সারা দিন যেন তার মুখে হাসি লেগে রয়েছে। শ্রেণী শিক্ষিকা জানাচ্ছেন, “দিব্যাঙ্কা কিন্তু একেবারেই বইপোকা নয়। তবে যথাযথ সময় সে যথাযথ কাজ করার পক্ষপাতী।” নিজের এমন সাফল্যের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বিদ্যালয়ের অবদানকে সবার আগে রেখেছে দিব্যাঙ্কা। আইসিএসই-তে তার প্রাপ্ত নম্বর ৯০.৪ শতাংশ। এই ভাবেই পরিশ্রম ও নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আগামী দিনে আরও বড় জায়গায় পৌঁছতে চায় দিব্যাঙ্কা।
শিক্ষার্থীদের এমন সাফল্যে তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল তথা ফাদার রেমিশ এক্কাও। তিনি জানান, “সেন্ট ফ্রান্সিস অ্যাকাদেমির কাছে এ বড় গর্বের মুহূর্ত। এমন সাফল্য শুধু শিক্ষার্থীদের মুখেই নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মুখেও হাসি ফুটিয়ে তোলে। তাদের দিন-রাত পরিশ্রম এবং পড়াশুনার প্রতি ভালবাসার ফলশ্রুতি হল এই রেজাল্ট। শিক্ষার্থীর এই সাফল্যের যাত্রায় সঙ্গী হতে পেরে আমরা গর্বিত। আগামী দিনে ওরা প্রত্যেকে অনেক বড় হোক এবং ওরা ভাল থাকুক, এই কামনাই করি।”
তবে শুধু এই বছরেই নয়, বিগত বছরগুলিতেও এই স্কুলের ফলাফল বার বার নজর কেড়েছে। শিক্ষাবর্ষ ২০২০-২০২১-এর সর্বোচ্চ নম্বর ছিল ৯৯.৭ শতাংশ। শিক্ষাবর্ষ ২০২১-২০২২-এর সর্বোচ্চ নম্বর ছিল ৯৪ শতাংশ। আসলে যে কোনও শিক্ষার্থীর জীবনেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বিদ্যালয়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর বড় হয়ে ওঠা, তার আচার, আচরণ, সবটাই গড়ে দেয় স্কুল। বিগত কয়েক দশকেরও বেশি সময় ধরে সেই কাজটাই করে আসছে সেন্ট ফ্রান্সিস অ্যাকাডেমি। শুধু মাত্র তথাকথিত পড়াশুনাই নয়, শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য এই স্কুলে রয়েছে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। স্মার্ট ক্লাস থেকে শুরু করে নাচ, গান, যোগা, বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা, আরও কত কী! রয়েছে লাইব্রেরি, আর্ট এন্ড ক্রাফ্ট, প্লে গার্ডেন। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের বড় হয়ে ওঠার যাত্রায় বার বার সঙ্গী হয়েছে সেন্ট ফ্রান্সিস।
এই প্রতিবেদনটি 'সেন্ট ফ্রান্সিস অ্যাকডেমি'র সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।