ইন্টারনেট আসার পরে বদলে গিয়েছে আমাদের জীবন। দৈনন্দিন যোগাযোগ ব্যবস্থায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে, প্রতিদিনের যোগাযোগের জন্য সবথেকে পছন্দের মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট। এক কথায়, আমরা এসে পড়েছি ডিজিটাল যুগে। কেন না জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রায়শই আমরা ডিজিটাল উপায় ব্যবহার করি।
খাওয়ার অর্ডার থেকে জিনিস পত্র কেনা, স্থানীয় বিক্রেতার থেকে সুপারমার্কেট, সর্বত্রই এখন ডিজিটাল জমানা। কেনা-বেচা সমস্ত কিছুই চলছে ডিজিটালি। তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। বিশেষত সব থেকে বেশি অসুবিধার মুখে পড়ে স্থানীয় ছোট ব্যবসায়ীরা। যাদের পক্ষে প্রতিদিনের লেনদেনের হিসেব রাখা সম্ভব হয় না। ফলে দিনের শেষে সমস্যা দাঁড়ায় হিসেব-নিকেশের সময়। এই সমস্যার বিষয়টিকে মাথায় রেখেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য হর্ষ, আদিত্য, এবং গৌরভ তৈরি করেন OkCredit অ্যাপ।
রোজকার লেনদেনের সমস্যা মেটাতে ছোট ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কী ভাবে সাহায্য করেছে OkCredit?
OkCredit আসলে একটি মোবাইল-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন যা সরবারহকারী, বিক্রেতা এবং গ্রাহকদের মধ্যে হওয়া লেনদেনগুলিকে ট্র্যাক করে। এই অ্যাপটি যে ভাবে সাহায্য করে -
১. গ্রাহক, বিক্রেতা এবং সরবরাহকারীদের কাছ থেকে নগদের লেনদেন পর্যবেক্ষণ করে।
২. কোনও ব্যবসায় নগদ অর্থের লেনদেনকে একত্রিত করে ব্যবসায়ীর সময় সাশ্রয় করে।
৩. বকেয়া অর্থের পরিমাণ এবং সংগৃহীত অর্থের পরিমাণের কথা মনে করায়।
৪. যে কোনও সময়ে, যে কোনও ডিভাইস থেকে সমস্ত রিপোর্ট অ্যাক্সেস করা সম্ভব।
২০১৭ সালে শুরু হয়েছিল OkCredit-এর পথ চলা। গত দু'বছরের এই অ্যাপের ব্যপকভাবে বৃদ্ধি হয়েছে। এই অ্যাপটি মূলত ছোট এবং ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলিকে লক্ষ্য করে এবং এই অ্যাপের মাধ্যমে তাদের দৈনন্দিনের সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে। সংস্থাটি ভবিষ্যতে নিজেদের আরও বড় এবং উন্নততর করে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত, সংস্থাটি লাইট স্পিড ভেনঞ্চার্স এবং টাইগার গ্লোবালের থেকে ৬৭ মিলিয়ন ডলারের ফান্ডিং পেয়েছে, যার ফলে সংস্থাটির মোট মূল্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ মিলিয়ন ডলার। ২০১৯-এ ওকে ক্রেডিটের ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১২০ গুণের কাছাকাছি। এবং অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে ২ কোটি বার। বর্তমানে সংস্থাটি ১০টি ভাষায়, ভারতের মোট ২৮০০টি শহরে ছড়িয়ে রয়েছে।
এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন। স্পনসরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।