প্রেমের মৃত্যু নেই। মৃত্যুর পরেও প্রেম থেকে যায়— এমন কথা তো অনেকেই বলেন। আর সেই প্রেম যদি অতৃপ্ত হয়, তবে তো কথাই নেই!
মৃত্যুর পরেও তার মুক্তি হয় না বলে বিশ্বাস করেন সেই সব মানুষ, যাঁরা ভূতের অস্তিত্বে বিশ্বাসী। কালীপুজোর আগে রইল এমনই এক ভূতুড়ে কাহিনি। ভূত চতুর্দশীর রাতে বন্ধুদের এ গল্প বলে চমকে দিতেই পারেন।
ভিয়েতনামের ইতিহাস অনেকেরই জানা। দীর্ঘ দিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির কোনায় কোনায় ভরা এমন সব গল্প, যা হাড় হিম করা ভূতুড়ে কাহিনির থেকেও বেশি ভয়ের। ঔপনিবেশিকতার অভিশাপ এক সময়ে এখানকার মানুষের জীবনকে নরকে পরিণত করেছিল। সে সব গল্প এখনও শিহরিত করে সকলকেই। তার পরে এ দেশ জর্জরিত হয়েছে যুদ্ধে। সে সব ক্ষতচিহ্ন এখনও মুছে যায়নি তার শরীর থেকে। কিন্তু এ গল্পটা সেই সব নিয়ে নয়। বরং এর সঙ্গে জুড়ে রয়েছে প্রেম।
ভিয়েতনামের দক্ষিণে এ দেশের অন্যতম বড় শহর হো চি মিন সিটি। আগে এই শহরের নাম ছিল সাইগন। এখানে রয়েছে একটি পার্ক, যার নাম তাও দান। হরেক ফুলগাছ এবং পাতাবাহারের জন্য পার্কটি বিখ্যাত।
সারা দিন ধরে এই পার্কে বেড়াতে আসেন বহু পর্যটক এবং স্থানীয় মানুষ। কিন্তু রাত নামলে সেই পার্কেরই অন্য চেহারা। তখন আর কেউ এর ধারপাশ দিয়ে যেতে চান না। কারণ এই পার্কে নাকি ঘুরে বেড়ায় অতৃপ্ত এক আত্মা। এক যুবকের আত্মা।
কে এই যুবক? শোনা যায়, বহু বহু বছর আগে এই পার্কের ভিতর দিয়ে এক যুবক যাচ্ছিলেন তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আর দেখা হয়নি। তার আগেই সন্ধের অন্ধকারে পার্কে আততায়ীর হাতে প্রাণ হারান ওই যুবক।
কেন প্রাণ হারাতে হয়, তা নিয়ে এত দিন বাদেও স্পষ্ট ধারণা নেই কারও। অনেকেই মনে করেন, ডাকাতিই ছিল প্রধান কারণ। তবে কারণ যাই হোক, শেষ পর্যন্ত সেই যুবক আর পৌঁছতে পারেননি গন্তব্যে।
তাই আজও রাতের অন্ধকার নেমে এলেই নাকি তাও দান পার্কে ফিরে আসেন সেই যুবক। খুঁজে বেড়ান তাঁর প্রেমিকাকে। অতৃপ্ত সেই আত্মার বুকফাটা কান্নাও নাকি শুনেছেন অনেকেই। আর সে কারণেই পৃথিবীর অন্যতম ভূতুড়ে জায়গার তালিকায় ঢুকে পড়েছে এই পার্ক।