প্রতীকী ছবি
দীর্ঘ দিনের শেষে ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফেরার যে শান্তি, নিজের পছন্দের সোফায় বা চেয়ারে বসে প্রিয় বই পড়ার শান্তি কিংবা মনের মানুষদের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর যে শান্তি তা নিজের বাড়ি ছাড়া কোথাও পাওয়া যায়না।
কিন্তু বিভিন্ন তর্ক, বিবাদ, মনমালিন্য বা পারিবারিক অসুস্থতার কারনে বাড়িতে নেগেটিভ এনার্জি বা নেতিবাচক শক্তি যদি জমতে থাকে, সবার প্রথম ব্যাঘাত ঘটতে পারে আপনার শান্তিতে। পুজোর আগে বাস্তু অনুসারে বাড়ির নেগেটিভ এনার্জি দূর করতে চাইলে জেনে নিন কিছু সহজ টিপস বাড়ীকে শুদ্ধ করার।
বাড়িতে বিভিন্ন কোনায়ে কিংবা জায়গায় যখন অন্ধকার হয়ে থাকে, বা আলো সঠিকভাবে পৌঁছোয় না, তখন সেই সব জায়গায় বদ্ধ থাকতে পারে নেতিবাচক শক্তি। তাই বাড়ির সব জানলা দরজা নিয়মিত খুলে রাখুন আর বাড়িতে প্রাকৃতিক আলো হাওয়া চলাচল করতে দিন, এতে খুব সহজে অনেক নেগেটিভ এনার্জিকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারবেন ।
ঘর সাজানোর জন্য অনেকেই নানারকমের ছবি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন, কিন্তু এক্ষেত্রে বিভিন্ন যুদ্ধ, দারিদ্র্য সংক্রান্ত ছবি দিয়ে ঘর সাজানোর বদলে, ঘর সাজান এমন কোন ছবি দিয়ে যার মধ্যে ইতিবাচক কোন ভাব থাকবে। এতে আপনার ঘরে অকারন নেগেটিভ এনার্জি বাসা বাধতে পারবেনা।
ঘরের নেতিবাচক ভাব দূর করার জন্য একটি পরিস্কার পাত্রে কয়েকটি তেজপাতা নিয়ে পুড়িয়ে নিন। তারপর জানলা খুলে সেই ধোঁয়া ঘরের বাইরে বের করে দিন। ঘরের ণেগেটিভ এনার্জি সরিয়ে ফেলার জন্য তেজপাতার ভুমিকা লক্ষ্যনীয়।
বাড়ির মধ্যে গুমোট ভাব কাররই পছন্দ না। তায় যদি আপনার সন্দেহ হয় কোনোরকম নেগেটিভ এনার্জি আপনার বাড়িতে ঘুরছে তবে আপনি বাড়ির পরিবেশকে ফুরফুরে করে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন নানারকম সুগন্ধি দ্রব্য ও এসেনশিয়াল অয়েল। যেমন ধরুন চন্দন কাঠ বা চন্দন তেল, সিট্রোনেলা অয়েল, দারচিনি তেল ব্যবহার করতে পারেন । বাড়িতে সেন্টেড ক্যান্ডেলও জ্বালাতে পারেন ল্যাভেন্ডার বা অন্য সেন্টের।
বাস্তু অনুযায়ী গাছের ভুমিকা খুব জরুরি কোন গৃহস্থালিতে। হতেই পারে আপনি পুজোর আগে নতুন অন্দরসাজ নিয়ে পরিকল্পনা করছেন, সেখানে যুক্ত করুন নানারকম টবে নানাধরনের গাছ দিয়ে ঘর সজানো। গাছ নেগেটিভ এনার্জি শুষে নিয়ে পজিটিভ এনার্জি ছড়িয়ে দেয় ঘরের ভেতর, সকালের চায়ে চুমুক দিয়ে তাই ফ্রেশ হয়ে নিন অন্দরেই।
বাড়িতে অনেক পুরোনো ব্যবহৃত জিনিসপত্র বেশিদিন জমিয়ে রাখলে সেখানে নেগেটিভ এনার্জি জমে থাকে। তাই পুরোনো জিনিস প্রয়োজন বুঝে বাতিল করুন, কিংবা নতুনভাবে ব্যবহার করার পদ্ধতি খুঁজে নিন। ভাঙা কাঁচের জিনিস কিংবা শুকনো গাছ বা ফুলও রাখবেন না বাড়িতে, এতে নেগেটিভ এনার্জি বাড়ি থেকে বের করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
বাস্তু অনুযায়ী বাড়িতে ঢোকার দরজার কাছে মিষ্টি গান , বা সুর থাকলে তা নেগেটিভ এনার্জিকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়না। তাই দরজার উপরে উইন্ড চাইম ঝুলিয়ে রাখুন, এতে সহজ হাওয়া চলাচলে শব্দের ভাইব্রেশনে পজিটভ এনার্জি বাড়ির মধ্যে আকর্ষিত হবে আর নেগেটিভ এনার্জি দূরে থাকবে।
আবার দরজা কখনও পুরো কালো রঙের করবেন না, এতে বাড়িতে ঢোকার মুখেই তৈরি হয় নেগেটিভ মনভাব। বরং বেছে নিন ঘন বাদামী রং।
এছাড়াও ঘরে ঝরনা বা বহমান কোনো নদী দিয়ে ঘর সাজালে ঘরে পজিটিভ এনার্জি সঞ্চার হবে।
আপনার বাড়ীকে নেগেটিভ এনার্জি মুক্ত রাখতে নিয়মিত মেডিটেশন করে পজিটিভ ভাবনাকে ছড়িয়ে দিন। ভেবে নিন কোন ধরনের ইতিবাচকভাব আপনি নিজের অন্দরে অনুভব করে নিতে চাইছেন, আর সেইভাবে অন্দরের শুদ্ধিকরন করে নিজের হাতেই করে ফেলুন ঝটপট। আপনি কি পদ্ধতি ব্যবহার করছেন তগার থেকেও এক্ষেত্রে জরুরি হল আপনি কিভাবে নিজের অন্দরকে পুজোর আগে ইতিবাচক শান্তিতে ভরিয়ে তুলতে চাইছেন, সেই মত বেছে নিন আপনার অস্ত্র আর দূরে রাখুন যেকোনো রকমের নেতিবাচক ভাবনাকে।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের অংশ।