প্রতীকী ছবি
হোক না অক্টোবর মাসের শুরু কি শেষ, ইদানিং দুর্গাপুজো মানেই ভ্যাপসা গরম। সঙ্গে দোসর দমবন্ধ করা গুমোট আবহাওয়া! উৎসবের দিনগুলোয় এমন পরিস্থিতিতে বাড়িতে বয়স্ক সদস্যরা কষ্ট পেলে কি ভাল লাগে? তাই অন্দরসজ্জা বা চিন্তাভাবনায় এ বারে বরং থাকুক বয়স্কদের জন্য গরমের আরামের খোঁজ। পরিস্থিতি মোকাবিলার কিছু টিপস রইল এই প্রতিবেদনে।
অন্দরসজ্জাবিদদের মতে, পরিবারের বয়স্করা দিনের বেশির ভাগ সময় ঘরের মধ্যেই থাকেন। কখনো একটু হাঁটাচলা বা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া চার দেওয়ালেই বন্দি। তাঁদের সুবিধের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে প্রবীণদের ঘর বরং হোক খোলামেলা, যেখানে প্রচুর আলো-হাওয়া আসবে। তা ছাড়াও তাঁদের ঘরে অতিরিক্ত আসবাবের ভিড় বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। এতে তাঁদের হাঁটাচলা করতেও সুবিধে। ঘরের মধ্যেও দমবন্ধ করা পরিবেশ সৃষ্টি হবে না।
জিনিসপত্র রাখতে ঘরের দেওয়াল জুড়ে বানিয়ে নিতে পারেন ক্যাবিনেট আলমারি। তাতে খুব সহজেই অনেক জিনিস সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা যায়। অনেকটা জায়গা ফাঁকাও থাকে। ফলে মনের মতো করে ঘর সাজানো যায়।
প্রতীকী ছবি
প্রবীণদের জন্য অন্দরসজ্জার মূলে রয়েছে সঠিক পরিকল্পনা। যেমন ধরুন, ঘরের মধ্যে খাট- বিছানা সব সময়ে জানলার ধারে রাখুন। খুব বেশি গরমে কষ্ট হলে যাতে অনায়াসে তাঁরা জানলা খুলে নিতে পারেন।
অন্দরসজ্জায় পর্দার ভূমিকা সব সময়েই খুব নজরকাড়া হওয়া চাই। কিন্তু বয়স্কদের ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে, ভারী পর্দা নৈব নৈব চ। এতে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করতে না পেরে কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে পরিস্থিতি। তাই পাতলা কাপড়ের পর্দা থাকুক ঘরে। যা দুপুরের দিকে কড়া রোদের সময়ে টেনে দিলে গরমে রেহাই মিলবে। আবার বিকেলে পর্দা সরিয়ে দিলেই ঘরে হাওয়া খেলবে।
গরমের সময়ে বয়স্করা অনেক ক্ষেত্রেই বাড়ি থেকে বেরোতে চান না। ঘরের মধ্যেই রাখুন বই পড়ে অবসর যাপনের আদর্শ ব্যবস্থা। সেখানে থাকুক নরম আলোর ল্যাম্পশেড বা স্পটলাইটের ব্যবহার। পুরনো দিনের গান চালাতে গ্রামোফোন কিংবা রেডিয়োর ব্যবস্থা রাখতে পারেন। ঘর সাজানোও হল, আবার প্রবীণদের মনও ভাল থাকবে। হাল্কা রঙের চাদর ও দেওয়ালেও হাল্কা প্যাস্টেল শেডের রঙ করিয়ে নিতে পারেন। এতে ঘর ও মন দুইই ঠান্ডা থাকে!
এই প্রতিবেদনটি আনন্দ উৎসব ফিচারের একটি অংশ।