উৎসবের লাল আভায় মজেছেন শ্রীতমা। দৃপ্ত চোখে তাঁর শুধুই প্রত্যয়।
ওটিটি তে কাজের সুবাদে সাহসী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকলেও ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার সাহস তিনি রাখেন।
পুজোয় ঠাকুর দেখতে, বন্ধুদের সঙ্গে হইহই করতে খুবই ভালবাসেন শ্রীতমা। শারদীয়া সাজে অভিনেত্রীর ভরসা শাড়িই।
লাল গরদে মিশেছে নরম, কোমল ছোঁয়া। চোখে ঝলমল উৎসবের আনন্দ।
সনাতনী শাড়ি পরার ধরনে আলাদা মাত্রা যোগ করে রুপোর গয়না আর পিঠ খোলা ব্লাউজ।
পুজোর দিনে বাড়ির খোলা বারান্দায় জমে ওঠে অপেক্ষা। আর হাসিতে লুকিয়ে থাকে প্রেম।
মূর্শিদাবাদ থেকে সোজা গল্ফ গ্রিন। অঞ্জন দত্তের 'সাহেবের কাটলেট' এ নজর কাড়েন শ্রীতমা। এই শারদীয়াতেও মুক্তি পাবে তাঁর বেশ কয়েকটি ছবি।
কালো আর ব্রোঞ্জ রঙা গরদ মন ভাল করবে আপনারও।
শাড়ি পরার ধরনে বৈচিত্র পছন্দ করেন অভিনেত্রী। সঙ্গে সোনার গয়না।
নিজের অভিনয় দিয়েই পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে চান শ্রীতমা। সব ধরনের চরিত্রে সব অভিনেতাদের সঙ্গেই কাজের ইচ্ছে তাঁর। তবে বিশেষ পছন্দে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
শুধু ছিমছাম গয়নাই যথেষ্ট পরমা'র এই গরদ শাড়ির সঙ্গে। উজ্জ্বল লাল ও রানি রঙের এই শাড়িটি নিজেই যেন উৎসব।
সনাতনী ও পাশ্চাত্য ধারার মিশেল শ্রীতমার এই লুক।
পুজোর সকালে অভিনেত্রী ভালবাসেন ভোগের খিচুড়ি খেতে। আর রাতে অবশ্যই মাটন বিরিয়ানি!
গরদ শাড়ির সঙ্গে সোনার গয়না বেশ মানানসই। তবে শাড়ি পরলেই যে লাজুক হতে হবে, এমনটা মনে করেন না অভিনেত্রী। শাড়ির সাজেও তাই যোগ হতে পারে এই প্রজন্মের নতুন শব্দ সোয়্যাগ্!
অফিস থেকে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার প্ল্যান হলে এমন লাল ও রানিরঙা গরদে নজর কাড়তে পারবেন অনায়াসেই। ঠিক শ্রীতমার মতো!
গরদ বাংলার ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্য নতুন রূপ পেয়েছে এই শারদীয়াতে। পরমার হাত ধরে। আর সেই সাজে শ্রীতমা যেন সত্যিই অপরূপা!