শৈশবকে দুমড়ে দিচ্ছে মুঠো ফোন। পাশাপাশি পড়াশোনার চাপে দিনের সময় বেশিটাই কেটে যাচ্ছে বদ্ধ ঘরে, নয়তো স্কুলে। মাঠে দৌড়াদৌড়ি নেই, খেলাধুলো কী বহু জনই ভুলতে বসেছে। জীবনটা যেন খাঁচায় বন্দি তাদের। এ নিযে মনোবিদরা বারবার সতর্ক করছেন অভিভাবকদের। এই বার পুজোয় এই বিষয়টিকে তুলে ধরছে হাওড়া শিবপুরের রামকৃষ্ণ অ্যাথলেটিক ক্লাব।
১৯৭২ সালে প্রথম বার এই কমিটির পুজো শুরু হয়। শুরুর দিকে স্বাভাবিক ভাবেই সাবেকি পুজো হত। ২০০১ সাল থেকে এখানে থিম পুজো করা হচ্ছে। সেই থেকে থিম পুজোই হয়ে আসছে। বেশ কয়েক বার নামী পুরস্কারও পেয়েছেন তাঁরা।
এই বার তাঁদের থিমের নাম ‘পিঞ্জরে প্রাণ ও মুক্তির গান’। থিমের ভাবনা পুরনো প্রজন্ম ও এখনকার প্রজন্মের শৈশব কাটানোর মুর্হূত।
ক্লাব ও পুজো কমিটির সম্পাদক শ্যামল চক্রবর্তী বললেন, ‘আমরা এখন যন্ত্রের মতো হয়ে গিয়েছি। বাচ্চারা পড়ার চাপে মাথা তুলতে পারছে না। মানুষে-মানুষে যোগাযোগ কমে যাচ্ছে। আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি, খেলাধুলোর মধ্যে বড় হয়েছি। আজকের প্রজন্মের সে সুযোগ নেই।’’
এই পীড়াদায়ক সামাজিক ছবিটি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘ছোটরা যেন ঘরের মধ্যে বন্দি না হয়ে যায়। তারা যেন সহজ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পায়। আমাদের থিমের বিষয় এমনই।’’
এঁদের প্রতিমাতেও চমক থাকছে। মা দুর্গার চার সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট গণেশ মায়ের কোলে বসে থাকবে।
এই পুজো ১৮ তারিখ থেকে সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এঁরা কিছু সমাজসেবামূলক কাজও করবেন পুজোয়।
কী করে যাবেন: হাওড়া স্টেশন নেমে নির্মীয়মান হওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশনের কাছে যেতে হবে। সেখান থেকে টোটো করে নেতাজি সুভাষ রোড, শ্যামাশ্রী সিনেমা হলের সামনে নামতে হবে। পুজো ওখানেই।
থিম শিল্পী: উদয় মণ্ডল
প্রতিমা শিল্পী: সৈকত বসু
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।