ডোকরা শিপ্লের নানা শিল্প-কারুকার্য ফুটে উঠবে বরাহনগরের এই পুজোয় রামকৃষ্ণপুরম অ্যাপার্টমেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের এই পুজোটিতে এবারের থিম ‘প্রাচীনা’। ৩৪ বছরে পদার্পণ করা এই পুজোর উদ্যোক্তারা এবারের মূল ভাবনার মাধ্যম হিসেবে ডোকরা বেছে নিয়েছেন। যেহেতু ডোকরা বাংলার অন্যতম প্রাচীন একটি শিল্প, তাই থিমের এমন নামকরণ।
মূলত মধ্যপ্রদেশের বাস্তার ও ছত্তিশগড়ের এলাকা থেকে এই শিল্পের উদ্ভাবন হয়ে অধুনা ঝাড়খণ্ড হয়ে বাংলার সংলগ্ন জেলা পুরুলিয়া, বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ছড়িয়ে পড়ে। প্রধানত বাঁকুড়ার বিকানে ও বর্ধমানের দরিয়াপুরে ডোকরা শিল্প বিখ্যাত।
পুজোর সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম দাস বলেন, ‘‘ডোকরা কথাটি মূলত একটি জনজাতির নাম থেকে এসেছে। মোম-ঢালাই পদ্ধতিতে তামা ও পিতলকে গলিয়ে ডোকরা শিল্পের সৃষ্টি। ডোকরার বিভিন্ন মডেল, হাতি, ঘোড়া, ডোকরা জাতির মানুষের অবয়ব প্রভৃতি মণ্ডপজুড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া মা দুর্গাকে ডোকরার মাধ্যমে জনজাতির মা-রূপে দেখানো হয়েছে।"
এর পাশাপাশি ওই শিল্পের তৈরি অতিকায় হরিণ, মুখোশ, জনজাতির ব্যবহৃত বর্শা মণ্ডপের সামনে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
প্রতিমা শিল্পী ও থিম শিল্পী- শীতল পাল।
পথ নির্দেশ - দমদম স্টেশন থেকে ডানকুনিগামী বাসে সিঁথির মোড়। সেখান থেকে অটোয় রামকৃষ্ণপুরম।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।