বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বহু জায়গায় গান করেন। তাঁর মন্ত্রিসভার দুই সদস্য ইন্দ্রনীল সেন এবং বাবুল সুপ্রিয়কে গাইতেও বলেন।
এ বারের পুজোয় খেলা একটু আলাদা ধাঁচের হয়ে গেল!
কলকাতার এক বহু পুরনো পুজোর থিমের গান গাইলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক উচ্চপদস্থ আমলা!
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বন, পরিবেশ ও প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের সচিব বিবেক কুমার। বন, পরিবেশ, প্রাণীর সঙ্গ মানুষকে দিয়ে কত কিছু করিয়ে নেয়! এ কি তারই নমুনা?
এ বার চালতাবাগান সর্বজনীন পুজোর থিমের গান গাইলেন তিনিই। যার ভিডিয়োগ্রাফি আজ মুক্তি পাচ্ছে সমাজমাধ্যমে। দেখা যাবে কাল থেকে।
১৯৪৫ সালে শুরু এই পুজোর পথ চলা। সাবেকি পুজো দিয়ে শুরু করলেও ২০১৮ সাল থেকে থিম পুজোর শুরু করে চালতাবাগান সর্বজনীন। এ বছরে তাঁদের থিম ‘স্পর্শ’। দৈনন্দিন জীবনযাপন থেকে আচার-বিচার সবেতেই জুড়ে রয়েছে— স্পর্শ-শব্দ-শব্দ-স্পর্শ।
আমাদের বাংলার লোক সংস্কৃতি জুড়ে রয়েছে প্রকৃতি বন্দনা। প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া বাদ্যযন্ত্র মঙ্গলধ্বনি হয়ে বেজে ওঠে মা দুর্গার বন্দনায়। ঠিক তেমনই বাউলের একতারা, দোতারা, বিনা, খমক থেকে ডুগডুগি— এগুলি যেন অনেকাংশেই প্রকৃতির উপহার। অথচ যত দিন যাচ্ছে আমরা হারিয়ে ফেলছি এই বাদ্যযন্ত্রগুলিকে। প্রকৃতির এই সুন্দর উপহার যেন এক গল্পকথার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দিন দিন। তাই সেই বাদ্যযন্ত্রের কথা মনে করিয়ে দিতেই এই প্রয়াস।
এই পুজোর জন্য গান গেয়েছেন বিবেক কুমার। সুরও দিয়েছেন তিনি। কথা সুব্রতা ঘোষ রায়। সঙ্গীত আয়োজনে দ্রোণ আচার্য।
গানটি আজ মুক্তি পেতে চলেছে সমাজমাধ্যমে। ‘আশা অডিয়ো’ এই গান রেকর্ডিঙে সাহায্য করেছে। আজ সন্ধ্যেবেলা তাদের সমাজমাধ্যমেই মুক্তি পেতে চলেছে গানটি। অনলাইনেই গান মুক্তি পাবে। অনলাইনেই উপস্থিত থাকবেন বিবেক কুমার।
পুজোর সাধারণ সম্পাদক মৌসম মুখোপাধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘আমরা গত পাঁচ বছর ধরে থিম পুজো করে আসছি। প্রত্যেক বছর কিছু বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করি। এ বারেও তার অন্যথা নেই। শুধু মণ্ডপ নয়, সুরের এবং বাদ্যযন্ত্রের এই ছোঁয়া রয়েছে মাতৃ মূর্তিতেও।’’
তিনি আরও জানান, ‘‘বিবেক কুমার প্রশাসক শুধু নন, এক জন ভাল গায়ক। তাই আমরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমরা এমনই এক জনকে খুঁজে পেতে চাইছিলাম এই গানের জন্য।’’
কী ভাবে যাবেন বিবেকানন্দ রোড ধরে বিধান সরণি থেকে এপিসি রোডের দিকে খানিকটা এগোলে ডান দিকে চোখে পড়বে চালতা বাগান সর্বজনীনের মণ্ডপ
থিম স্পর্শ
থিম শিল্পী শংকর পাল
প্রতিমা শিল্পী সুবল পাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।