বাংলা সাহিত্যের রস নিয়েই তাঁদের এই বছরের ভাবনা, কথা বলি। তাঁরা বালিগঞ্জ কালচারাল আস্যোসিয়েশন। দক্ষিণ কলকাতার নাম করা পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এই পুজো। দক্ষিণ কলকাতায় ঠাকুর দেখতে যাওয়া মানেই বালিগঞ্জ কালাচারাল অ্যাসোসিয়েশনের ঠাকুর তো দেখতেই হবে।
পুজো শুরু হয়েছিল ১৯৫১ সালে। ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে পুজো বড় বড় হতে আজ পরিণত হয়েছে এক মহীরুহে। এই বছরে তাঁদের থিমে রয়েছে বাংলা সাহিত্যের ছোঁয়া। থিমের নাম ‘কথাবলী’।
চর্যা পদ থেকে সমস্ত কালজয়ী গানের লাইন দিয়ে সেজে উঠেছে মণ্ডপ। শুধু তাই নয় থিম পুজোর রমরমায় কিন্তু হারিয়ে যায়নি পরিবেশ বান্ধব দিকটি। সম্পূর্ণ লোহার সামগ্রীর উপরেই তৈরি হয়েছে মণ্ডপের কাঠামো। মণ্ডপ তৈরিতে ব্যবহৃত বাকি সামগ্রীও পরিবেশ বান্ধব। মাতৃ মূর্তি সাবেকি হলেও তাতে রয়েছে থিমের ছোঁয়া। অর্থাৎ এ যেন সাবেকি আর থিম পুজোর মিলন ক্ষেত্র।
পুজোর সম্পাদক সপ্তর্ষি বসুর কথায়, ‘‘সময়ের সঙ্গে আমাদের পুজোও এখন অনেক বড়্র হয়েছে। এখন কর্পোরেটের যুগ। কিন্তু তাঁর মধ্যেও আমরা প্রতি বছর নিষ্ঠা ভরে মা দুর্গার আরাধনা করে এসেছি। এখন আমরা থিম পুজো করলে তাতে পুজোর মূল দিক অবহেলিত হয় না। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় তিন থেকে আশি সবাই ধুতি পাঞ্জাবি অথবা মহিলারা লাল পাড় সাদা শাড়ি পরে এক সঙ্গে হাঁটেন। এই বছরে আমাদের পুজোকে কেন্দ্র করে বিশেষ ‘থিম সং’ তৈরি করা হয়েছে।’’
থিম কথা বলি
থিম শিল্পী বিমল সামন্ত
প্রতিমা শিল্পী সনাতন পাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।