হরকুটীর উত্তর কলকাতার অন্যতম এক বনেদি বাড়ি।এ বাড়ির দূর্গা পুজো-ও অন্যতম।ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে মোড়ানো এ পরিবারের বর্তমানে ত্রয়োদশ প্রজন্মের পুজো চলছে।
"হরকুটীর"- এহেন নামকরণের পিছনে রয়েছে এক বিশেষ কারণ। এ বাড়িতে ১২ মাস ও ৩০ দিন,শিব ও নারায়ণের নিত্য সেবা হয়ে থাকে।
বহু ইতিহাস জড়িত এই পরিবারের সাথে।এ বাড়ির শিব ঠাকুরের প্রতিষ্ঠা করেন স্বয়ং রামকৃষ্ণ পরমহংস।
এই পরিবারের সপ্তম প্রজন্মের হরপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন কালি সাধক ও সৌখিন গায়ক।
ধ্রুপদ সংগীতের উৎপত্তি হয় এ বাড়িতে।বামদেব সহ বহু মানুষের পদধূলি পড়েছে এ বাড়িতে।
হরপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় ৩২ টি ভাষায় দক্ষ ছিলেন।এমনকি যদু ভট্টের সাথে এই পরিবারের ইতিহাস জড়িত।
মা আসেন এ বাড়িতে এক চালায়। এ বাড়ির ঠাকুর স্বপ্নাদেশে পাওয়া।এখানে গণেশ ও কার্তিক শিশু রূপে পূজিত হন।ঠাকুরের এক বিশেষ ধরনের সাজ রয়েছে।সব দেব দেবী এখানে বাহন হীন।প্রতিমার রূপের কোন পরিবর্তন নেই।
এ বাড়ির বাড়ির পুজো ১০ দিনের।প্রতিপদে ঘট বসে ও দশমী পর্যন্ত পুজো হয়।বলি বা কুমারী পূজার প্রচলন নেই।
নয় দিন পুরোপুরি নিরামিষ ভোজন হয় এবং চন্দনী ক্ষীর এক বিশেষ পদ।
দশমীতে মা কে পান্তাভাত ও বাসি খাবার খাওয়ানো হয়।মাছ ভাত খাওয়ার পর মা কে বরণ করা হয়। এরপর দুপুরের মধ্যে বাড়ি থেকে মা বিদায় নেন।