উত্তর কলকাতার চোর বাগানের চ্যাটার্জি বাড়ির দুর্গাপুজো শুরু হয় ষষ্ঠী কল্পে।
ষষ্ঠীর দিন বোধনের পরে সন্ধ্যায় বিভিন্ন অস্ত্র ও সোনা-হিরে, মুক্তোখচিত গয়নায় সাজিয়ে বাড়ির বউরা মাকে বরণ করে মন্দিরে নিয়ে আসেন।
এ বাড়িতে দেবী দুর্গাকে কন্যা রূপে পুজো করা হয়। তাই সপ্তমীতে দেবীর প্রতীকী নবপত্রিকাকে বাড়িতেই স্নান করানো হয়।
১৯৩৮ থেকে ১৯৩৯ পর্যন্ত এই বনেদি বাড়ির সাবেক পুজোয় প্রচলিত ছিল পাঁঠা বলি। সে রীতি আজ আর নেই। এখন তার বদলে আখ বা চালকুমড়ো উৎসর্গ করা হয় দেবীকে।
১৮৬০-এ রামচন্দ্র চ্যাটার্জি শুরু করেন চোরবাগান চ্যাটার্জি বাড়ির পুজো। সপ্তমী থেকে নবমী তিন দিন বিভিন্ন রকম ভোগের আয়োজন করা হয় এখানে।
সপ্তমীতে প্রথম পুজোয় খিচুড়ি, পাঁচ রকম ভাজা, মাছ, অম্বল, পায়েস সহযোগে ভোগ দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় পুজোয় দেওয়া হয় অন্নভোগ। সঙ্গে পাঁচ ভাজা, পটল বা ফুলকপির কালিয়া, বাঁধাকপি, পোনা মাছের কালিয়া, আমের চাটনি, বাড়িতে তৈরি বোঁদে ও ল্যাংচা।
এই বনেদি বাড়ির পুজোর এক অন্য রকম বিশেষত্ব রয়েছে। এ বাড়িতে সমস্ত ভোগই পরিবারের পুরুষেরা রান্না করে থাকেন।
দশমীর বিদায় বেলায় দর্পণ ভাসিয়ে দেবীকে বরণ করার পরে বাড়ির ব্রতী কনকাঞ্জলি গ্রহণ করেন।
মা দুর্গাকে শোনানো হয় প্রার্থনা সঙ্গীত। তার পরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় জগন্নাথ ঘাটে।