মা কালী এক ও অনন্য। কিন্তু এই মা কালীরও আছে ১১ টি রূপ। আর সেই বিভিন্ন রূপের আছে ভিন্ন ভিন্ন মাহাত্ম্য। কখনও তিনি শান্ত নীরব, কখনও বা উগ্রচণ্ডী।
দক্ষিণাকালী: গ্রামবাংলায় সবথেকে বেশি পূজিত হন এই দক্ষিণাকালী। এই কালী শ্যামাকালী নামেও পরিচিত। নীলবর্ণা দেবীর গলায় থাকে মুণ্ডমালা। বাঁ হাতে নরমুণ্ড এবং খড়্গ। ডান হাতে থাকে আশীর্বাদ এবং অভয় মুদ্রা। এই কালীর নীচে শিব শায়িত থাকেন।
শ্মশানকালী: যে কোনও শ্মশানেই এই কালীর পুজো হয়। ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে ডাকাতেরা এই কালীর পুজো করতেন বলে কথিত। তন্ত্র, মন্ত্র এবং বলি এই কালীপুজোর অন্যতম উপাদান।
সিদ্ধকালী: অমাবস্যার দিনে এই কালীপুজো হয়ে থাকে। সাধকরা মূলত সিদ্ধিলাভের জন্য এই পুজো করে থাকেন।
ফলহারিণী কালী: বছরে এক বার গৃহস্থের ঘরে এই কালীর পুজো করা হয়ে থাকে। সংসারে শান্তি ও সুস্থতা বজায় রাখতেই কালীর এই রূপের পুজো করা হয়।
মহাকালী: এই কালীর দশ মাথা, দশ হাত এবং দশ পা। দশ হাতেই থাকে অস্ত্র । এই কালীর সঙ্গে শিব থাকেন না। ভূত চতুর্দশীতে এই মহাকালীর পুজো করা হয়ে থাকে।
কাম্যাকালী: এই কালীপুজো সাধারণত অষ্টমী, চতুর্দশী, অমাবস্যা, পূর্ণিমায় হয়ে থাকে। এই কালীর পুজোর রীতি অনেকটা দক্ষিণা কালীর মতোই।
গুহ্যকালী: এই দেবীর গায়ের রং কালো। গলায় ৫০টি নরমুণ্ড হার সজ্জিত থাকে। এই দেবীর রূপ অত্যন্ত ভয়ঙ্করী।
ভদ্রকালী: জনসমাজের কল্যাণে এই কালীপুজো করা হয়। মূলত মন্দিরে এই দেবীর পুজো করা হয়।
চামুণ্ডা কালী: চামুণ্ডা কালী একইসঙ্গে ভগবতী দুর্গা এবং পার্বতী। চণ্ড ও মুণ্ড নামের দুই অসুরকে বধ করেছিলেন তিনি। অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করেন এই চামুণ্ডা দেবী।
শ্রীকালী: দেবী দুর্গা অথবা পার্বতীর বিশেষ রূপ। দারুক নামে অসুরকে বধ করেছিলেন এই দেবী। মহাদেবের কণ্ঠে ঢুকে বিষ ধারণ করেছিলেন তিনি।
রক্ষাকালী: দক্ষিণা কালীর একটি বিশেষ রূপ হল রক্ষাকালী। বিশ্বকে রক্ষা করার জন্য এই দেবীর নাম রক্ষাকালী। তা ছাড়াও বসতভূমিকে রক্ষার উদ্দেশ্যে এই কালীর পুজো করা হয়ে থাকে। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ