প্রতীকী ছবি।
সদ্য গেল কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমা। অনেকেই নিজের মতো অথবা পুরোহিত ডেকে লক্ষ্মীপুজো করেন। পুজোর পরে ঘর স্বাভাবিক ভাবেই খানিকটা অপরিচ্ছন্ন হয়। বাসি ফুল-পাতা-ধূপে অপরিষ্কার দেখায় ঘর। কী করে আবার আগের মতো করে তুলবেন ঘর, পুজোয় ব্যবহৃত জিনিসপত্র?
১) জল দিয়ে ধোয়া-মোছার কাজ করার আগে ভাল করে ঝাঁট দিয়ে নিন। শুকনো ময়লা, যেমন ধূপের ছাই, বাসি ফুল-পাতা, প্যাকেট— এইগুলি আগে পরিষ্কার করে নিলেই অনেকটা আগের চেহারা পাবে আপনার ঘর।
১) পুজোর বেদি, তা পাথরেরই হোক অথবা কাঠের, চটজলদি নোংরা হয়ে যায়। বিশেষ করে তেল, বিভূতি জমে ময়লা আরও বাড়ে। খেয়াল রাখবেন সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার না করলে যে কোনও তৈলাক্ত তলদেশেই ময়লা জমবে দ্রুত। তাই বেশি সময় ফেলে না রেখে ডিটার্জেন্ট স্প্রে এবং ঈষদুষ্ণ জলে তা ধুয়ে ফেলুন। তার পরে শুকনো কাপড়েও আবার মুছে নিন যাতে কোনও দাগ না লেগে থাকে।
পুজোয় ব্যবহৃত বাসনের মধ্যে অধিকাংশ বাসন কাঁসার।
২) বেদির মতো পুজোর পরে মেঝেও নোংরা হয়ে পড়ে চট করেই। টাইলস বা গ্র্যানাইটের মেঝে হলে অন্যান্য দিনের মতোই কাপড় দিয়ে মুছতে পারেন। মার্বেল হলে একটু সচেতন হওয়া প্রয়োজন। চুন অথবা বেকিং সোডা এড়িয়ে চলাই ভাল কারণ সে ক্ষেত্রে মার্বেলে গর্ত হতে পারে, অনেক সময়ে রংও চলে যায়। ঈষদুষ্ণ সাবান-জল ব্যবহার করতে পারেন।
৩) ধূপ-ধুনো বা প্রদীপের শিখায় দেওয়ালে দাগ পড়ে যায়। এখন অধিকাংশ দেওয়ালই ওয়াটারপ্রুফ, তাই সহজেই তা সাবান-জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।
৪) পুজোয় ব্যবহৃত বাসনের মধ্যে অধিকাংশ বাসন কাঁসার। কাঁসার বাসন নোংরা হলে তা পরিষ্কার করার জন্য আছে কাপড় কাচার সাবান মোশানো গরম জল এবং তেঁতুল। তার পরেও ময়লাভাব না গেলে নরম মাটি ব্যবহার করতে পারেন।