প্রতীকী চিত্র
শরৎ আসা মানেই নীল আকাশ জানান দেয় ঢাকে কাঠি পড়ল বলে! উমার ঘরে ফেরার দিন গোনার ফাঁকে প্রতিটি বাড়ি সেজে ওঠে আনন্দের উজ্জ্বলতায়। এই শুভ সময়ে সকলেই চায় বাড়িতে সমৃদ্ধি আসুক। বাস্তু মতে কিছু নিয়ম মেনে চললে শারদ-পার্বণেই বাড়িতে ঘটবে শুভশক্তির আগমন।
পুজো আসার আগেই ঘরদোর সাফ করা বহু দিনের রীতি। এই সময়ে অপ্রয়োজনীয়, অপরিষ্কার কাপড় ও অন্যান্য বাতিল জিনিসপত্র ফেলে দিয়ে যদি ঘর গুছিয়ে রাখা যায়, তা হলে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির প্রবেশ ঘটে।
সুখ ও সমৃদ্ধিকে আহ্বান জানাতে বাড়ির প্রধান দরজায় স্বস্তিক আঁকুন। এই শুভ প্রতীক অশুভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে বাড়িতে আনন্দ নিয়ে আসে। সেই সঙ্গেই বাড়ির দরজায় সাজান আম্রপল্লবের তোরণ। এটি দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক এবং বাড়িতে সমৃদ্ধি ও আনন্দ বয়ে আনে।
বাস্তু অনুসারে, বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে তুলসী গাছ রাখলে তা বাড়িতে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনে। তুলসী গাছ শরীর-স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
বাড়িতে দুর্গা মূর্তি রাখলে সেই জায়গাটি অবশ্যই পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। মাতৃমূর্তিকে বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে রাখা শুভ। খেয়াল রাখবেন যাতে মূর্তি সমতলে না থেকে একটু উঁচু জায়গায় থাকে। বাড়িতে যখন প্রার্থনা করবেন, তখন পূর্ব অথবা দক্ষিণ মুখ করে প্রার্থনা করলে তা মনে আত্মবিশ্বাস ও সাহস জাগায় এবং জীবনে সাফল্য আনে।
পুজোর সময়ে শুধুমাত্র রুপো ও তামার পাত্র ব্যবহার করা ভাল। বাস্তুমতে, দুর্গাপূজার সময়ে লোহা অথবা স্টেনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ।
বাস্তু অনুযায়ী, চন্দন কাঠের তৈরি টেবিলে মঙ্গলঘট রাখাই আদর্শ এবং অখণ্ড প্রদীপ শুধুমাত্র দক্ষিণ-পূর্ব কোণেই রাখা উচিত।
নিজের বাড়িতে সকলেই চান সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি। বাস্তুমত মেনে চলা সেখানে উপকারী হয়ে উঠতেই পারে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।