বাড়িতে বসে কাজ করে করে শরীরে বেড়েছে মেদ। এ দিকে কাজের চাপে জিমে যাওয়ার সময় নেই। তার উপর আবার রয়েছে ভারী ব্যায়ামে কোমরের সমস্যা। পুজোর আগে ছিপছিপে চেহারা তবে পাবেন কী ভাবে?
সহজেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারে জুম্বা ডান্স। নাচের তালে এই ব্যায়াম করলে শরীর ও মন দুই-ই থাকে তরতাজা।
মেদ কমাতে ও ক্যালরি ঝরাতে উপযোগী সালসা, হিপ হপ, ট্যাঙ্গো, বেলি ডান্স ইত্যাদি। এই সবক’টি মিশিয়ে তৈরি এই ব্যায়াম। নিয়মিত অভ্যাসে রোজ ৬০০ থেকে ১০০০ ক্যালরি বার্ন হয়। ফলে তাড়াতাড়ি মেদ কমে।
এনার্জি বাড়ে ও স্ট্রেস কমে। নাচের তালে এই ব্যায়াম করলে আপনার মন খুশি থাকে। ফলে উদ্যম বাড়ে। ‘ফিল গুড’ হরমোনের ক্ষরণ বাড়ার ফলে মানসিক চাপ কমে। দুশ্চিন্তা ও অবসাদ থেকে দূরে থাকাও সম্ভব হয়।
এই নাচ শরীর গঠনে সহায়ক। জুম্বা ডান্স করার সময়ে আপনার হাত ও পায়ের গঠনে পরিবর্তন আসে। পুশ আপ বা অনান্য ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনার পেট ও শরীরের অনান্য অংশের গঠন আরও মজবুত ও আকর্ষণীয় হয়।
এই নাচ শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বার করতে সক্ষম। জুম্বা ডান্স করার সময়ে শরীরে প্রচণ্ড ঘাম হয়। এবং তার সঙ্গেই শরীরে থাকা ক্ষতিকারক টক্সিক উপাদানগুলি বেরিয়ে যায়।
এই ব্যয়াম হার্ট ভাল রাখার চাবিকাঠি। এই ব্যায়াম করার সময়ে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। ফলে কিডনি ও লিভারের সঙ্গে সঙ্গে হার্টের পাম্প করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
স্ট্যামিনা বৃদ্ধি পায়। এই ব্যায়ামে আপনার শরীরের সহ্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সঙ্গে বৃদ্ধি পায় আপনার শরীরের স্ট্যামিনাও।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। ৩০ মিনিট এই ব্যায়াম করার পরে আপানার শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘামের সঙ্গে ক্ষতিকর উপাদানও বেরিয়ে যায়। এই ব্যায়াম করার পর প্রচুর পরিমাণে জল খান। দেখবেন ত্বকের উজ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
তবে একটা কথা মাথায় রাখা জরুরি। নিয়মিত ভাবে এই ব্যায়াম না করলে কিন্তু কোনও লাভ নেই। প্রয়োজনে কোনও জুম্বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হতে পারেন। বা বাড়িতেই ইউটিউব থেকে দেখে ব্যায়াম করতে পারেন।