Cooking Mistakes

রান্না করতে গিয়ে যে সব ভুল প্রায়ই হয়! রেহাই পেতে কী করবেন? জেনে নিন পুজোর আগেই

রান্নাঘরে ছোট্ট কিছু ভুল হয়ে গেলে সাধের রান্নাটা বিগড়ে যায়। রোজকার দিনেই এমনটা হয়ে যায়। পুজোর সময় হুল্লোড়পনায় তো আরওই তেমন হতে পারে। কখন কী করবেন?

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:০৫
Share:

ভালমন্দ খেতে কে না ভালবাসে! কড়া নাড়ছে দুর্গাপুজো। উৎসবের মরসুমে বাড়িতেই নিত্যনতুন কিছু রেঁধে চমকে দিতে আরও বেশি করে ইচ্ছে জাগে। কিন্তু জানেন কি, রান্নাঘরে ছোট্ট ছোট্ট কিছু ভুল নিজেদের অজান্তেই করে বসেন অনেকে। যার জেরে ঘটে যায় অহেতুক বিপত্তি!

Advertisement

কী সেই ভুলগুলো? তার ফলে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে? কী ভাবেই বা সেগুলো শোধরানো সম্ভব? জেনে নিন।

১. সবজি কেটে জলে বেশিক্ষণ চুবিয়ে রাখা

Advertisement

যত বেশি সময় সবজি জলে থাকবে, এতে থাকা ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি জলের ময়লার সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে যাবে তত বেশি। এমনকী ভিটামিনের গুণাগুণ ৬৫-৭০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়।

সমাধান - সবজি পরিষ্কার জলে ভাল করে ধুয়ে তুলে নিয়ে শুকনো পাত্রে রাখা বেশি ভাল।

২. সবজির খোসা ছাড়ানো

প্রায় সব সবজির খোসায় ফাইবার থাকে, যা খাবারের অন্যতম পুষ্টিকর উপাদান। খোসা ছাড়িয়ে ফেলে দিলে ওই পুষ্টির ৪০ শতাংশ চলে যায়।

সমাধান - পারলে খোসা না ছাড়িয়ে সবজি রান্না করুন। বিশেষ করে আলু, গাজর, বিট, বেগুন, লাউ, পাকা কুমড়ো, পটল ইত্যাদি।

৩. কড়াইয়ের তেল গরম হয়ে ধোঁয়া না বেরনো অবধি রান্না শুরু না করা

যে কোনও তেলে উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। বেশি তাপমাত্রায় তেল যত গরম হয়, তত ওই উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। তেলের গুণাবলী নষ্ট হয়ে যায়। উল্টে ফুটন্ত তেলে জড়ো হয় ক্ষতিকর উপাদান। তাতে বিভিন্ন রোগের বীজ থাকে।

সমাধান – সবজি, মাছ, মাংস, যা-ই রান্না করুন, তেল হালকা গরম হলেই শুরু করে দিন।

৪. ভাজার সমস্যা

এক বার ব্যবহার করা তেল ছেঁকে নিয়ে ফের সেই তেলে কিছু ভাজলে, ভিটামিন ও প্রোটিন, দুই-ই কমে যায়। বরং সেই তেলে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাট, ওজোন উপাদান তৈরি হয়। তাতে কিছু রোগের আশঙ্কা বাড়ে।

সমাধান - মাঝারি তাপমাত্রায় অল্প সময় ধরে ডিপ ফ্রাই করলে তবেই সেই তেল দ্বিতীয় বার ব্যবহার করতে পারেন। এবং অবশ্যই তেল ছেঁকে নিয়ে। একমাত্র নারকেল তেলের ‘স্মোক পয়েন্ট’ অনেকটাই বেশি হওয়ায়, ওই তেল দ্বিতীয় বার ব্যবহারেও গুণাগুণ অবিকৃত থাকে।

এ ছাড়া যে বিষয়গুলি যথাসম্ভব মাথায় রাখবেন

১. যে সব রান্নায় মধু লাগে, সেই মধু যেন বেশি তাপমাত্রায় রাখা না থাকে। রান্নাঘরে মধুর শিশি সব সময়ে ‘নর্ম্যাল টেম্পারেচার’--এ রাখুন।

২. কাঁচা সবজি পরিষ্কার জলে ভাল করে ধুয়ে তবেই খান।

৩. কড়াই বা হাঁড়ির মুখ খুলে রান্না করলে তেল ও জল বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। তার সঙ্গে উড়ে যায় খাবারের পুষ্টিগুণের অন্তত ৬০-৭০ শতাংশ। সবচেয়ে ভাল, প্রেশার কুকারে রান্না করা।

৪. গ্রিল করা খাবারে পুষ্টি বেশি ও ক্যালোরি কম থাকে। শরীরের জন্য যা খুব প্রয়োজনীয়। কিন্তু গ্রিল করা খাবারের বাড়তি মুখরোচক পোড়া অংশ নিয়মিত খেলে অগ্ন্যাশয় এবং স্তন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

৫. মাইক্রো ওভেনে তৈরি খাবারেও পুষ্টি বেশি ও ক্যালোরি কম থাকে। কিন্তু প্ল্যাস্টিকের পাত্রে মাইক্রো ওভেনে রান্না করা উচিত নয়। তাতে খাবারে বিষাক্ত রাসায়নিক সৃষ্টি হওয়ার ভয় থাকে। সেরামিক বা কাচের পাত্রে মাইক্রো ওভেনে রান্না করা বেশি ভালো।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement