প্রতীকী ছবি।
পুজোর চারদিনের কোনও না কোনও দিন খাওয়াদাওয়াতে সাবেক বাঙালি পদ তো থাকেই। যে ধরনের পার্শ্বপদ সারা বছর রান্না করা বা খাওয়ার অতটাও সুযোগ হয় না, পুজোর দুপুরে সেই রকম সাবেক পদের প্রতিই আমাদের ঝোঁক থাকে বেশি। বাঙালির এমনই প্রিয় এক সাবেক পদ পাতুরি। তাই পুজোর দুপুরবেলায় গরম গরম ভাতের সঙ্গে সাহচর্য দেওয়ার জন্য বানিয়ে ফেলুন ভেটকি পাতুরি।
প্রতীকী ছবি।
ভেটকি পাতুরি
উপকরণ:
ভেটকির ফিলে: ৪ পিস (পাতুরির আকারে কাটা)
সর্ষে: ২ টেবিল চামচ
পোস্ত: ২ টেবিল চামচ
নারকেল কোরা: ১/৪ কাপ
কাঁচালঙ্কা: ৬-৭টি
হলুদগুঁড়ো: ১ চা চামচ
কলাপাতা: ১টি (চারটে টুকরোয় কেটে নিন)
সরষের তেল: ২ টেবিল চামচ
নুন স্বাদমতো
প্রণালী
ভেটকির ফিলেগুলিতে ভাল করে নুন ও হলুদ মাখিয়ে রেখে দিন। এবার মিক্সিতে সরষে, পোস্ত আর কাঁচালঙ্কা ও অল্প জল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এ বার মিশ্রণটির সঙ্গে নুন, হলুদ ও নারকেল কোরা ভাল করে মাখিয়ে পাতুরির মশলাটা তৈরি করে নিন।
মাছের ফিলেগুলিতে এই পাতুরির মশলাটা ভাল করে মাখিয়ে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। ঘণ্টাখানেক পর ফ্রিজ থেকে মাছ বার করে মশলা থেকে মাছগুলি সরিয়ে নিন। মাছের গায়ে সরষের তেল মাখিয়ে নিন।
এ বার কলার পাতাগুলি হাল্কা আঁচে গ্যাসে আলতো করে সেঁকে নিন। কলাপাতার উপর সেই তৈরি করে রাখা পাতুরির মশলা ১ টেবিল চামচ করে দিন। তার পরে মাছের ফিলে রাখুন। উপরে আরও ১ টেবিল চামচ মশলা দিয়ে মাছটা ভাল করে ঢেকে দিন। সবশেষে ১টি কাঁচালঙ্কা ও সামান্য সর্ষের তেল ছড়িয়ে দিন। কলার পাতাগুলি সাদা সুতো দিয়ে বেঁধে ভাল করে মুড়ে নিন।
এ বার ননস্টিক কড়াইতে তেল গরম করে পাতুরিগুলি ভাজতে দিন। ভাজা শুরু হলে আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। মিনিট সাতেক পর খুলে দেখুন কলাপাতাগুলি কালচে হয়ে গিয়েছে কি না। হয়ে গেলে বুঝবেন পাতুরি তৈরি। তার পরে নামিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।