‘দে শোভরানি’
পুজোতে শুধু ঠাকুর দেখব আর চলে আসব, তা আবার কখনও হয় নাকি? ঠাকুর দেখার সঙ্গে সঙ্গে পেট পুজো— সবই চলবে জোর কদমে। আর বিষয় যখন পেট পুজোর, তখন কোমর বেঁধে তৈরি কলকাতার রেস্তরাঁ এবং হোটেলগুলিও।
প্রতি বছরের মতো এই বছরেও পুজো স্পেশাল মেনু লঞ্চ করল কলকাতার জনপ্রিয় হোটেল ‘দে শোভরানি’। ইলিশ থেকে খাসির মাংস, মিষ্টি থেকে ককটেল, মেনু জুড়ে রয়েছে হাজার চমক। যা বোঝা যাবে ট্যাগ লাইন দেখলেই। এই পুজোয় সংস্থার ট্যাগলাইন ‘শারদীয়াতে দে শোভরানির হাত, পুরোনো স্বাদে বাজিমাত’।
বাংলা এবং বাঙালির হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী কিছু খাবার নিয়ে সাজানো হয়েছে মেনু। যা এক সুন্দর পরিবেশের মধ্যেই আপনি উপযোগ করতে পারবেন। শুধু খাওয়া দাওয়া নয়, সঙ্গে থাকবে গান-বাজনা, ডিজে। ব্যবস্থা থাকছে ঠাকুর দেখারও। বলা যেতে পারে, এই পুজোকে মাতিয়ে দিতে সব মিলিয়ে এক দারুন আয়োজন করেছে ‘দে শোভরানি’।
এই প্রসঙ্গে হোটেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কমলিনী পাল আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, “প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরও আমরা শারদীয়াতে বাঙালি ভুরিভোজের আয়োজন করেছি। তাও আবার খুবই কম দামে।” এই বছর বাঙালি খাবারের জন্য থাকছে দুই রকম বুফে। প্রথমটি প্রিমিয়াম বুফে যার দাম রাখা হয়েছে ১৩২০ টাকা যেখানে থাকছে খাসির মাংস, চিকেন, ইলিশ মাছ, চিংড়ি ইত্যাদি। দ্বিতীয়টি ৭৯৯ টাকা। যেখানে থাকছে খাসির মাংস, চিকেন, চিংড়ির চপের মতো নানা বাঙালি পদ।
ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত সারাদিন এই বুফে পাওয়া যাবে। আর ভুরিভোজের সঙ্গে রয়েছে গান, আড্ডা, হই-হুল্লোড় সবকিছুর ব্যবস্থাও। পাশাপাশি, খোলা আকাশের নীচে নৈশভোজের সঙ্গে সঙ্গে হোটেলে উপভোগ করা যাবে রাতের কলকাতার অপূর্ব দৃশ্য। পুজোর দিনগুলিতে ককটেলের উপরেও রয়েছে নানান অফার।
কমলিনী জানাচ্ছেন, “কেউ যদি পরিবারের সঙ্গে এসে দে শোভরানিতে পুজোর এই চারটে দিন কাটাতে চান, সেই ব্যবস্থাও থাকছে। সেক্ষেত্রে প্যাকেজ হিসাবে হোটেল বুক করতে পারবেন তাঁরা।”
এই শারদীয়া স্পেশাল অফারটি চলবে ৯ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।