পুজোয় জমিয়ে ভূরিভোজ অম্বরীশ-কনীনিকা।
এই চার দিন ডায়েটে মারো গোলি! ষষ্ঠী থেকে নবমী জমে যাক স্বাদে-আহ্লাদে।
এই মন্ত্র জপেই বছরভর প্রতীক্ষা তারকাদের। পুজো এসে গিয়েছে। এ বার কারও পেটপুজোয় পোলাও-মাংস, তো কারও মাংস-ভাত। কেউ গপাগপ উড়িয়ে দেন গরম গরম লুচি। কেউ বা তিন-চার রকমের মাছ থেকে ভোগের খিচুড়ি, কিচ্ছুটি বাদ দেন না। ছোট পর্দার বড় তারকাদের পুজোর খানাপিনা। ফাঁস হয়ে গেল স্টার জলসার ফেসবুক-পাতায়।
পুজোর ক’দিন খাওয়াদাওয়ায় একটুও চক্ষুলজ্জা নেই পটকা, মিষ্টি, সহচরী, রূপাঞ্জন, দিঠি, নোয়া, গুনগুনদের। পর্দার ‘মিষ্টি’, রাজন্যা মিত্র বলছেন, ‘‘ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী নিরামিষ খাওয়া আছে। তার পর নবমীতে মাংস-ভাত ছাড়া যায় নাকি! ওইটাই সেরা।’’ শ্রুতি দাস ওরফে ‘নোয়া’ আবার পুজোর ক’দিন বাড়িতে খান না বললেই চলে! কাটোয়ায় থাকলে বন্ধুদের সঙ্গে সারাক্ষণ বাইরে। তবে দুপুরের খাওয়াটা বাড়িতে। নইলে ‘মা জননী’ যে রাগ করেন! ‘সহচরী’ কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় গত পাঁচ বছর ধরেই নবমীতে মায়ের হাতের পোলাও আর মাংস থেকে দূরে! ‘‘মায়ের হাতের রান্না জিভে লেগে আজও। কিন্তু গত পাঁচ বছর সেই সব পদ থেকে দূরে। কী ভীষণ মিস করি!’’ আফসোস কনীনিকার। ‘দিঠি’ আবার লুচির পোকা। দিদার হাতের গরমাগরম ফুলকো লুচি পেলে আর কিচ্ছু চান না ঐশী ভট্টাচার্য।
তবে প্রেম হোক বা খানাপিনা, দুই বিষয়েই জবরদস্ত পটকা আর গুনগুন। কোনও রাখঢাকের বালাই নেই অম্বরীশ ভট্টাচার্য, তৃণা সাহার। খানাপিনাতেও তা-ই। তৃণার পুজো মানেই যাবতীয় পেটপুজো রাস্তায়। ফুচকা, আলুর দম, চাট আর পাওভাজি। অভিনেত্রী জোর গলায় বলছেন, ‘‘দোকানের নয়, রাস্তায় বিক্রি হওয়া পাওভাজি ছাড়া খাই না।’’ পুজোয় গুছিয়ে খান অম্বরীশও। সপ্তমীতে তাঁর চাই সরু চালের ভাত, গাওয়া ঘি, মুগের ডাল, পারশে, ট্যাংরা আর পমফ্রেট মাছ। নিরামিষ খাবার নাপসন্দ্ বটে, তবে অষ্টমীর ভোগের খিচুড়িও ছাড়তে নারাজ। ‘পটকা’র যুক্তি, ‘‘বাড়ির খিচুড়িতে এমন স্বাদ পেয়েছেন? পাবেন না। কারণ, ফুল, ধূপ, ধুনোর মিলিত গন্ধ বাড়ির খিচুড়িতে একাকার হয়ে যায় না। তাই পুজোর ভোগের স্বাদ-গন্ধই আলাদা।’’ ধোঁয়া ওঠা খিচুড়ির সঙ্গে গরমাগরম বেগুনি। পাত পেড়ে খাওয়ার পরিবেশনে সুযোগ পেলেই খান কয়েক বেগুনি খেয়ে ফেলতেন অভিনেতা আর তাঁর বন্ধুরা! ‘‘তার পর যখন নিজেরা বসে খাওয়ার সময় আসত, ততক্ষণে পেট ভর্তি’’, ফাঁস করলেন পটকা।