শিশুদের মুখে হাসি ফোটাল ফেডারেশন।
পঞ্চমীর সকালে এক হাজার শিশু টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োয়। না, কোনও ধারাবাহিকের জন্য পরীক্ষা দিতে নয়। পুজোর উপহার নিতে এসেছে ওরা। সৌজন্যে ফেডারেশন। একটু দূরে দাঁড়িয়ে তাদের মায়েরা। সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস, সম্পাদক অপর্ণা বসাক সহ ফেডারেশনের সমস্ত পদাধিকারীদের উপস্থিতিতে শুরু উপহার বিতরণ। আনন্দবাজার অনলাইনকে স্বরূপ জানিয়েছেন, ‘‘শুধু শিশু নয়, ওদের মায়েদের হাতেও এ দিন পুজো-উপহার তুলে দেওয়া হয়েছে। কলাকুশলীদের বাচ্চাদের জন্য জামা। তাদের মায়েদের জন্য শাড়ি। সবার ঝলমলে মুখ দেখে মনে হল, পুজো সার্থক।’’
গত বছর থেকে অতিমারি ম্লান করেছে পুজোর আনন্দ। লকডাউনে দীর্ঘ দিন কাজ বন্ধ ছিল বহু কলাকুশলীর। উপার্জনেও ভাটার টান। অনেকেই ছেলেমেয়েকে নতুন জামা দিতে পারেননি। যেমন পারেননি স্ত্রী-কে নতুন শাড়ি কিনে দিতে। সেই ফাঁক ভরাট করল ফেডারেশন, দাবি সংগঠন সভাপতির। যাতে অতিমারির মধ্যেও সবাই মিলে একসঙ্গে পুজো উদযাপন করতে পারেন। অপর্ণার কথায়, ‘‘ভাগ করে নিলে ভাঁড়ারে টান পড়ে না। বরং আনন্দ বাড়ে।’’
পুজোর মধ্যে আপাতত আর কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে স্বরূপ আগাম আভাস দিলেন, ভাইফোঁটার সময় আবারও ফেডারেশনের বিশেষ ভাবনা রয়েছে। সংগঠনের উদ্যোগে কি ভাইফোঁটা হবে? পঞ্চমীতে সে কথা ফাঁস করতে রাজি নন ফেডারেশন সভাপতি।