প্রতীকী চিত্র
বেশ কয়েক দশক ধরেই বাঙালিদের মধ্যে তিব্বতি খানা মোমোর বেশ কদর। কলকাতার পথঘাটে মোমোর ছোট স্টল থেকে বড় রেস্তোরাঁ, দুয়েরই সংখ্যা প্রচুর। পুজোয় রাত জেগে ঠাকুর তো দেখবেন, সঙ্গে পেটপুজোও তো করতে হবে, নাকি? এই দিনগুলোয় রেস্তোরাঁ মানেই লম্বা লাইন! তা ছাড়া স্ট্রিট ফুড ছাড়া পুজো কবেই বা জমেছে! ঠাকুর দেখার ফাঁকে রাস্তার স্টলে মোমো মানেই স্বাস্থ্যকর সুস্বাদের সঙ্গে পেট ভরার গ্যারান্টি! আর স্ট্রিট মোমো হলে পকেটও খানিক আরাম পায় বৈকি! অতএব রইল কলকাতার পথে সেরা কয়েকটি মোমোর ঠিকানার সুলুকসন্ধান।
ইন্তেখাব আলমস্ মোমো: বেশ কয়েক বছর ধরেই কলকাতায় বেশ নামডাক এই মোমোর দোকানটির। রবীন্দ্র সদন মেট্রো গেটের কাছে এক্সাইড মোড়ে এই স্টলটি কলেজ পড়ুয়াদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
দীপঙ্করদার মোমো: শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে দীপঙ্কর গোস্বামী এই দোকানটি চালান। মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের ছাত্রছাত্রীরা সারাক্ষণ ভিড় জমায় এখানেই।
ফিরোজ মোমো: পার্ক স্ট্রিট মেট্রো গেটের কাছে ১৪ বছর ধরে এই দোকান চালাচ্ছেন ফিরোজ আলি। ‘হুশহাশ’ ঝাল চাটনি এই দোকানের বিশেষত্ব।
থাপাস্ স্টল: দোকানের কর্ণধার শঙ্কর থাপা জন্মসূত্রে নেপালি। তাঁর আগের প্রজন্ম কলকাতায় এসে নেপালের জনপ্রিয় খাবার মোমোর ব্যবসা শুরু করেন। ক্রেতাদের মধ্যে এখানকার চিলি গার্লিক সস্-এর বিপুল চাহিদা।
কার্তিকদার মোমো: ডালহৌসিতে আরবিআই-এর পাশে এই দোকানটি চালান কার্তিকচন্দ্র বারি। ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় এই মোমো। এ ছাড়া, চিলি চিকেন, ফ্রায়েড রাইস, চিকেন পকোড়া-সহ আরও অনেক কিছুই পাওয়া যায় এই দোকানে।
বাবুলাল মোমো: শ্যামবাজারে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোডে এই বাবুলাল মোমো ইদানীং বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তার হরেক স্বাদের মোমোর জন্য। বহু মোমোপ্রেমীর মতে, কলকাতায় সেরা ভেটকি মাছের মোমোর ঠিকানা এটি। এ ছাড়াও এখানকার চিকেন চিজ মোমো, ফ্রায়েড চিজ কর্ন মোমোও স্বাদে অতুলনীয়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।