এ বারের পুজোয় সনাতনী কাতান বেনারসীর পাশাপাশি তসর জর্জেট, বিশুদ্ধ জর্জেটেও সেজেছে শিল্পীর শা়ড়ি সম্ভার।
বেনারসি। বাঙালি কন্যের বিয়ে থেকে বিয়েবাড়ির আদি ও অকৃত্রিম পছন্দ। উত্তরপ্রদেশের বেনারসের এই প্রাচীন শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে ঐতিহ্য ও ইতিহাসের সুবাস। আধুনিক সাজের বাড়বাড়ন্তেও যার রাজকীয় আভিজাত্য এতটুকু অমলিন হয়নি। বেনারসীর সেই ঐতিহ্যের ঘরানাকেই যত্নে বাঁচিয়ে রাখছে পোশাক-শিল্পী মিতান ঘোষের সংস্থা।
পুরোপুরি হাতে তৈরি এই শাড়িগুলির বৈশিষ্ট্য দুষ্প্রাপ্য মালবেরি সুতোর বয়ন। সঙ্গে মনকাড়া সূক্ষ্ম নকশা। হস্তশিল্পের এক আশ্চর্য নমুনা এই বেনারসী। যাতে মিশে আছে বহু শিল্পীর রক্ত জল করা শ্রম, ধৈর্য ও ভাবনা। কেবল সূক্ষ্ম কারুকাজ নয়, প্রতিটি শাড়ি যেন ফেলে আসা সময়ের কাহিনি।
আধুনিক সাজের বাড়বাড়ন্তেও বেনারসীর রাজকীয় আভিজাত্য এতটুকু অমলিন হয়নি।
গত ১০ বছর ধরে এই ধারাকেই এগিয়ে নিয়ে চলেছেন মিতান ঘোষ। তাঁর বৈশিষ্ট্য হল ঐতিহ্যবাহী বেনারসী শাড়িতেও আধুনিকতা ও আন্তর্জাতিকতার স্পর্শ। মিতানের ভাবনায় বহমান এই ইতিহাসের স্রোতে মিশেছে সমকালীন সময়ের রূপ-রস। এ বারের পুজোয় সনাতনী কাতান বেনারসীর পাশাপাশি তসর জর্জেট, বিশুদ্ধ জর্জেটেও সেজেছে শিল্পীর শা়ড়ি সম্ভার।
এখন নানাবিধ পূজা-পার্বণ বা উৎসবের দিনেও অনেকে বেছে নেন বেনারসী।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেনরসীর নকশাও বদলেছে অনেক। আগে বিয়ে ছাড়া বেনারসী ভাবাই যেত না। ইদানীং হালকা কারুকাজও বেনারসীতে উঠে আসায় অনেকটাই আগল ভেঙেছে তার ব্যবহার। এখন নানাবিধ পূজা-পার্বণ বা উৎসবের দিনেও অনেকে বেছে নেন বেনারসী। ছক-ভাঙা বেনারসীতে নিজের সাজ নিয়ে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষারও সুযোগ পান শৌখিনীরা।