দুর্গাপুজোয় শাড়ি তাঁর কাছে জ্যামিতির স্বতঃসিদ্ধর মতো। পুজোর চারটে দিন আর কোনও সাজের কথা ভাবতেই পারেন না সুদীপ্তা চক্রবর্তী। এ বছর পুজোয় পোশাক-শিল্পী অনুশ্রী মলহোত্রর শাড়িতেই সেজে উঠবেন তিনি।
লাল পাড় সাদা শাড়ি ছাড়া বাঙালির যে কোনও উৎসবই যে অসম্পূর্ণ! সুদীপ্তার জন্যও তাই সেই শাড়িই বেছে নিয়েছেন অনুশ্রী। আঁচলে সযত্নে আঁকা মা দুর্গার মুখ। অনুশ্রী বললেন, “দুর্গাপুজোয় মা দুর্গাকে প্রাধান্য দিতেই তৈরি হয়েছে এই শাড়ি।”
লালপেড়ে চিরন্তনী শাড়ির সঙ্গে ঘিয়ে রঙা হালকা কাজের হাকোবা ব্লাউজ। অষ্টমীর সকালে এমন সাজেই অঞ্জলি দিতে পারেন সুদীপ্তা।
পুজোর সময়ে নিয়মের গণ্ডি দূর হটো। ডায়েটের আগল ভেঙে বেরিয়ে পড়েন অভিনেত্রী। আশ মিটিয়ে খাওয়াদাওয়া। ঘড়ির কাঁটা উড়িয়ে ঘুম। ঢাকের আওয়াজ আর ধুনোর গন্ধেই তাঁর পুজোর স্বাধীনতা।
শাড়ির পাশাপাশি পুজোয় অন্য ধরনের পোশাকও পছন্দ করেন সুদীপ্তা। তাঁর কথায়, “পুজোর সব কটা দিনেই আমি শাড়ি পরতে ভালবাসি। তবু হালকা জামা, পালাজোর সাজও মন্দ লাগে না।” সে কথা মাথায় রেখে সবুজ এবং লাল রঙা জামদানি দিয়ে লম্বা ঝুলের জামাও তৈরি করেছেন অনুশ্রী।
পোশাক-শিল্পীর কথায়, “কেউ যদি সন্ধেবেলায় একটু জমকালো সাজতে চান, তা হলে এই ধরনের জামা পরতে পারেন। সামলাতে বিশেষ সমস্যা হবে না। দেখতেও সুন্দর লাগবে।”
পুজোর সন্ধ্যায় অবশ্য শাড়িই এক এবং একমাত্র পছন্দ। “সকালগুলো অন্য পোশাক পরলেও, রাতে আমার শাড়িই চাই!” হেসে ফেললেন সুদীপ্তা। শাড়ি-প্রেম যে প্রকাশ্যে!
জামা ছেড়ে এবার সাবেক সাজে ফেরা। জামদানি শাড়িতে সুদীপ্তা। সাদা জমিতে লাল-সবুজ পাড়। কপালে লাল টিপ। হাতে-গলায় আকন্দের মালায় ছক-ভাঙা সাহস।
হঠাৎ আকন্দ ফুল কেন? আনন্দবাজার অনলাইনকে অনুশ্রী বললেন, “জুঁই বা অন্য অনেক ফুলের মালাই খুব তাড়াতাড়ি নেতিয়ে পড়ে। কিন্তু আকন্দ ফুল অনেক ক্ষণ তাজা থাকে। তাই এই মালায় সাজও সুন্দর দেখায়।”
আপাতত দিন গুনছেন সুদীপ্তা। পুজো এলেই যেমন খুশি সাজো-র পালা। কেমন হবে তাঁর শারদ-সাজ? উৎসবের দিন কয়েক আগেই অনুরাগীদের জন্য তারই এক ঝলক।
ছবি: রিও। রূপটান: শমিতাভ দেব। চুল: বীথি রায়। স্থান: রাহি টি টাইম