‘আমিই ইন্ডাস্ট্রি’। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় মানেই একা হাতে সামলে দেওয়া ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ থেকে ‘বাবা কেন চাকর’। এখনও ‘মনের মানুষ’ থেকে ‘আয় খুকু আয়’- সবটাই তাঁঁকে ঘিরে।
ছবির জগতে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও লম্বা সফর। টলিউড থেকে বলিউড। আবার ফিরে আসা টলিউডে। এখন তো ছোট পর্দাতেও তিনি সবার প্রিয় ‘দিদি’।
জুটিতে কাটিয়েছেন কয়েক দশক। জানা গেল রচনার তাড়াতেই নাকি বুম্বাদা ঠিক ১১টায় হাজির আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গলে।
কী ভাবে সাজবেন? কী পরবেন? ঠিক করলেন দু’জনে মিলে।
‘ভালবাসি শুধু তোমাকে’। আইটিসিতে পুজোর শ্যুটে এটাই কি রচনা-প্রসেনজিতের মনের কথা?
প্রয়াত ডিজাইনার শর্বরী দত্তের ছেলে অমলিন দত্তের নকশায় সূক্ষ্ম কাজের পাঞ্জাবি –ধুতি। চির সবুজ প্রসেনজিৎ। রচনা নিজস্ব কালেকশন রচনা’স -এর গোলাপ কাঁথার ব্যাঙ্গালোর সিল্কে অনন্যা।
কতটা কাছের মানুষ রচনা? মিষ্টি হেসে বুম্বাদার উত্তর, “ওকে আদর করতে পারি সবার সামনে।”
আর রচনার মনের কথা? “দেবদাস হলে পার্বতী হব আমি, আর বুম্বাদা দেবদাস!”
“রচনা ভরসা করে আমার উপরে। তাই তো এত কাছে আসতে পারি, প্রয়োজনে বুকের মধ্যে আগলেও রাখতে পারি। কি, তাই না?” আত্মবিশ্বাসী প্রসেনজিৎ।
দূরে থাকলেও এ জুটি ঠিক নজর কাড়ে!
চার দেওয়ালের ফটোশ্যুটেও প্রসেনজিৎ-রচনা যেন মুক্ত পাখি। বাইরে তখন অঝোর বৃষ্টি। ভিজতে চায় দু’টি মন। প্রবল বৃষ্টির মাঝেই ছাউনির নীচে শ্যুটিং। ভিজে সারা হয়েই কি আরও কাছে আসার প্রশ্রয়?
কালচে নীল-সবুজের অঙ্গরাখা, সঙ্গে কালো ঢোলা পাজামা…অমলিন দত্তের অসাধারণ ডিজাইনের সঙ্গে রচনার নীল-লাল পুজো পুজো সাজ। পুজো মানেই যে আবার প্রেমে পড়া!
পুজো মানে আরও অনেক কিছু। নতুন গান, নস্টালজিয়া, ফিরে ফিরে দেখা প্রেম।
আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গলে ফটোশ্যুটের সময়, সেই নস্টালজিয়ায় বার বার ফিরে যাচ্ছিলেন তাঁরা। ক্যামেরার ভিউ-ফাইন্ডারে সেই ছবি উস্কে দিচ্ছিল পুরনো কত স্মৃতি।
সমগ্র পরিকল্পনায় আমাদের সাহায্য করেছেন — রূপটান শিল্পী: সুভাষ চন্দ্র বেরা , প্রসেনজিতের পোশাক: অমলিন দত্ত (শর্বরী'স), রচনার পোশাক: রচনা'স ক্রিয়েশন, রূপটান শিল্পী: অমল দাস, কেশসজ্জা: জ্যোৎস্না, স্টাইলিস্ট: রুদ্র সাহা, চিত্রগ্রাহক: সহেলী দাস মুখোপাধ্যায়, স্থান: আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গল, পরিকল্পনায়: নিবেদিতা দে