বছরভরের তারকাও পুজোর ক’দিন রুপোলি পর্দা ছেড়ে মাটির কাছাকাছি। নতুন পোশাক, সংযম ভুলে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া তো আছেই। বাড়ির পুজোও নিজেরাই সারেন। অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় থেকে ইন্দ্রাণী হালদার হয়ে মধুমিতা সরকার, অদ্রিজা রায়, অর্কজা আচার্য, প্রমিতা চক্রবর্তী, সুদীপা বন্দ্যোপাধ্যায়। টেলি কন্যেরা এক মনে ধনদেবীর আরাধনায়।
বরাবর যা করেন, এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। ভোগ রান্না থেকে পুজোর জোগাড় সব একা হাতে সামলেছেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। অতিথি আপ্যায়নে তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে।
বেনারসী শাড়ি-গয়নায় সাক্ষাৎ ‘শ্রীময়ী’ ইন্দ্রাণী হালদার। পুজোয় পুরী গিয়েছিলেন। সেখানেই পেয়েছেন লক্ষ্মীর ঝাঁপি। যা তাঁর কাছে লক্ষ্মী-স্বরূপিনী। বাড়িতে ঠাকুরের আসনে জগন্নাথ দেবের পাশে সেই ঝাঁপিকে বসিয়ে পুজো সেরেছেন অভিনেত্রী।
নতুন ফ্ল্যাট কিনেছেন মধুমিতা সরকার। সেখানেই ঠাকুরের তাকে লক্ষ্মীর আসন। নিজে হলুদ শাড়িতে সেজে, দেবীকে সাজিয়ে ঘরোয়া পুজো সেরেছেন। নিজে খিচুড়ি রেঁধে ভোগ দিয়েছেন দেবীকে।
বড় প্রতিমা, ছড়ানো আলপনা, অঢেল আয়োজন। সুদীপা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি বছরের লক্ষ্মীপুজো এ ভাবেই। তার মধ্যে নজর কেড়েছে তাঁর এক মনে দুলে দুলে লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়া।
গত বছরই নতুন ফ্ল্যাট কিনে লক্ষ্মীপুজো করেছিলেন রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায়-প্রমিতা চক্রবর্তী। তারকা দম্পতির লক্ষ্মীপুজোর এ বার দ্বিতীয় বছর। নিখুঁত আয়োজন। নিখুঁত লক্ষ্মীমন্ত বাঙালি সাজ। তাতেই পুজো জমজমাট।
দু’দিন দুই বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো করেছেন অদিতি মুন্সী। মঙ্গলবার বাপের বাড়িতে ছিল পুজো । গায়িকা-বিধায়ক সুজি, লুচি, ফল, মিষ্টি নিবেদন করেছেন সেই বাড়ির দেবীকে। বুধবার তিনি দিনভর ব্যস্ত শ্বশুরবাড়ির পুজোয়।
টেলিপাড়ার ‘মিষ্টি মেয়ে’ অদ্রিজা রায়। লাল পাড় সাদা শাড়ি, গয়নায় সেজে লক্ষ্মী আরাধনায় মেতেছেন তিনিও। প্রতিমার সামনে মেঝে জুড়ে আলপনা এঁকেছেন। তার পর বাড়ির সবাইকে নিয়ে নতজানু দেবীর কাছে। প্রার্থনা একটাই, ‘আমার এ ঘরে থাকো আলো করে’।
লক্ষ্মীপুজোয় ব্যস্ত ছিলেন অর্কজা আচার্যও। নিজের হাতে আলপনা দিয়েছেন। সাজিয়েছেন পুজোর ঘর। পুজোর প্রস্তুতিও তাঁকে ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ। এমন লক্ষ্মীমন্ত মেয়ে সত্যিই লাখে মেলে!