নবরাত্রিতে আলাদা আলাদা ন’টি রূপে পূজিত হন দেবী দুর্গা। প্রতি রূপের নাম এবং বৈশিষ্ট্য আলাদা। প্রথম দিন দেবী পূজিত হন শৈলপুত্রী রূপে।
শৈল, অর্থাৎ হিমালয়ের কন্যা পার্বতীর আর এক নাম শৈলপুত্রী। কোথাও কোথাও আবার তিনি ভবানী, পার্বতী বা হেমবতী।
দু’হাত বিশিষ্ট দেবীবিগ্রহের এক হাতে ধরা থাকে ত্রিশূল। অন্য হাতে প্রস্ফুটিত পদ্ম।
মহাদেবের ষাঁড় নন্দীর উপর আসীন দেবী শৈলপুত্রী প্রকৃতপক্ষে আদিপরাশক্তির একটি রূপ।
তাঁর শৈলপুত্রী নামকরণের পিছনে আছে এক পৌরাণিক আখ্যান।
হিমালয়ের কন্যা পার্বতী বধ করেছিলেন তারিকা রাক্ষসীকে।
কন্যার সাহসে মুগ্ধ নগরাজ মেয়ের নাম দেন শৈলপুত্রী।
পিতা হিমালয়-ই কন্যার মাথায় পরিয়ে দেন সোনার মুকুট।
তারিকা রাক্ষসীর হাত থেকে দেবী রক্ষা করেছিলেন গরুর পালকে। তাঁর আরাধনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে গোপূজনও।
দেবী শৈলপুত্রী সুখ ও সমৃদ্ধির দেবী। তাঁর পুজোর প্রধান উপকরণ হল ঘি, সুপারি, আতপ চাল এবং আম্রপল্লব।
বারাণসীতে দেবী শৈলপুত্রীর মন্দিরের স্থানমাহাত্ম্য ভক্তদের কাছে গভীর। প্রতি বছর নবরাত্রিতে এই মন্দিরে প্রচুর পুণ্যার্থী সমাগম হয়।