এ বার পুজোয় ছেলে সহজের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর প্ল্যান করছেন প্রিয়াঙ্কা সরকার। আনন্দবাজার ডিজিটালের জন্য এক্সক্লুসিভ শ্যুট করতে গিয়ে বললেন, “পুজো পরিক্রমা, পুজোর দিনে কাজ এ বার সব বন্ধ!”
পুজোয় তাই প্রিয়াঙ্কার ট্রেন্ড ক্যাজুয়াল লুক-ই। বললেন, “লাল তো পুজোর রং। সেই ভেবে লাল হাল্কা সুতির শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজটা অন্য রকম করে বেল্ট দিয়ে পরলাম। গরমের আবহাওয়ায় সাজটা লাইট রাখাই ভাল।”
এই পুজোয় হাউজ পার্টি বেশি হবে। তাই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় প্রিয়াঙ্কা বেছে নিচ্ছেন শরারা। সঙ্গে ছোট কিছু অ্যাক্সেসরিজ। পুজোর সন্ধ্যেয় নিজের জন্য তাঁর পছন্দ হাল্কা গোলাপি আর মভের মিশেলে লং স্লিভলেস গাউন।
লন্ডন থেকে শ্যুট শেষ করে ফিরেছেন সবে। এসেই ব্যস্ত ‘হ্যালো সিজন থ্রি’ নিয়ে।
সাসপেন্স, থ্রিলার, ত্রিকোণ প্রেম- 'হ্যালো'তে ছিল সবই। এ বার সেই ঘটনাক্রমই ফিরে এসেছে চূড়ান্ত কাউন্টডাউন নিয়ে। মুখ্য চরিত্রে জয় সেনগুপ্ত, প্রিয়াঙ্কা সরকার, রাইমা সেন।
ছেলে সহজকে নিয়ে গাড়ি করে দুর্গাঠাকুর দেখার প্ল্যান করে রেখেছেন প্রিয়াঙ্কা। বললেন, “সহজের পছন্দের খাবার পিৎজা। ভাল হাতের লেখা হলেও পিৎজা। ঠাকুর দেখতে যাওয়ার হলেও তাই। তবে এ বার আমি আর সহজ একসঙ্গে আইস গোলা খেতে পারব না। প্যান্ডেলে তো ঘোরা যাবে না!”
‘সুরিন্দর ফিল্মস’-এর প্রযোজনায়, যশ-এর সঙ্গে নতুন ছবির কাজও এর পরে শেষ করবেন প্রিয়াঙ্কা।
এই অতিমারীর অচেনা দিনে প্রিয়াঙ্কার এক অন্য রূপও দেখেছে এ শহর। সংসার-বাচ্চা সামলেও ফুটপাথবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বৃষ্টির মধ্যে বিলি করেছেন ত্রিপলও।
আর পুজোয় প্রেম? “ছোটবেলায় প্যান্ডেলে আচমকা দেখলাম কোনও সুন্দর দেখতে ছেলে, বেশ লাগল। পরের দিন সেই এক জায়গায় আবার তাঁকে দেখতে গেলাম… এ রকম তো কত কী! এখন আর হয় না,” বলেই চুপ প্রিয়াঙ্কা।
পুজোয় নতুন কিছুর অপেক্ষা? প্রথমে অস্বস্তি, পরে হেসে বললেন, “হোক না নতুন প্রেম এ বার পুজোয়, দেখি…।” শাঁসা: পূজা কপুর; পিঙ্ক জাম্পসুট: অলিপ্রিয়া; শাড়ি: বহুরূপী শান্তিনিকেতন; শরারা ও লং শার্ট: বন বিবি; গয়না: প্রিক্স টি বাই প্রাচি বাঁকা এট্রিয়াম; হেয়ার স্টাইলিং এবং মেক আপ: সুমন গঙ্গোপাধ্যায়; স্টাইলিস্ট: পৌলমী গুপ্ত ও অভিষেক রায়; ফটোগ্রাফি: কৌস্তভ সাইকিয়া।