ভোজনরসিক বাঙালির চিনা খাবারের প্রতি গভীর টান। কলকাতার রাস্তায় এক পা-দু’পা এগলেই চোখে পড়বে চাইনিজ রেস্তরাঁর অজস্র ঠিকানা। সেখানে মিলবে এমন সব বাহারি খানা যা হয়েতো চিনেও মেলা ভার! ৬ নং ক্যামাক স্ট্রিটের ‘দ্য ফ্যাটি বাও’ ও ‘মঙ্কি বার’ তাদেরই মধ্যে অন্যতম।
বাঙালির চিনেপ্রীতির কথা মাথায় রেখেই পুজোয় ‘দ্য ফ্যাটি বাও’ আপনার রসনাতৃপ্তি মেটাবে ‘প্যান্ডেলস অব চায়নাটাউন’ থিমেই। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত থাকছে পুজোর স্পেশাল এই ফুড থিম। বেলা ১২ টা থেকে রাত ১১.৩০ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এই রেঁস্তরা।
তা কী কী মিলছে এখানে? কী নয় তা-ই বলুন! কলকাতা থেকে লন্ডন, সান ফ্রান্সিসকো থেকে হংকং— সারা বিশ্বের চায়নাটাউনগুলির সুপরিচিত সব চাইনিজ পদ। স্ন্যাক্স, মেন কোর্স বা ডেজার্ট মেনুতে বাদ থাকছে না কিছুই।
‘ট্যাংরা’ স্টাইল ক্রিসপি চিলি চিকেন ও ক্রিসপি চিলি পনির থাকছে তাদের পুজো স্পেশাল মেনুতে। এ ছাড়া ‘প্যান ফ্রায়েড নুডলস উইথ ক্যানটোনিজ স্টাইল ব্রেসড চিকেন’ও ট্রাই করতে পারেন।
সি ফুড ভালবাসলে অবশ্যই চেখে দেখুন ‘দ্য ফ্যাটি বাও’ স্পেশাল ফিশ পাফ— যা লন্ডনের নোলুন বেকারির ফিশ পাফের দ্বারা অনুপ্রাণিত। ‘মু সু চিকেন’ অর্ডার করলে আপনি পাবেন আমেরিকান চাইনিজের এক অভিনব ফ্লেভার।
এ ছাড়াও থাকছে হোল বেবি পমফ্রেট, রোস্টেড হাফ ডাকের মতো বিভিন্ন প্রদেশের অথেন্টিক চাইনিজ পদের সম্ভার। শেষ পাতে চাইনিজ এগ কাস্টার্ড টার্ট ট্রাই না করলে কিন্তু সত্যিই ঠকবেন!
এই পুজোয় চেনা পরিচিত বাঙালি খাবার অচেনা মোড়কে আপনাদের সামনে পরিবেশন করতে চলেছে ‘মঙ্কি বার’ রেস্তরাঁ। কখনোও শুনেছেন রসগোল্লার চাটের কথা? কিংবা ইতালিও প্যানা কটার সঙ্গে নলেন গুড়ের মেলবন্ধন!
রেস্তরাঁর পুজো স্পেশাল ‘চায়না ও চায়না’ থিমে থাকছে এমনই সব অভিনব পদের সুলুকসন্ধান। চিরপরিচিত ভেটকি পাতুরির পরিবেশনে থাকছে ‘মঙ্কি বার’ টুইস্ট! গবিন্দভোগ চালের ভাতের সঙ্গে সর্ষে ভেটকি পাতুরি আর ফ্রায়েড ভেজিটেবিল! নাম হল ‘ভেটকি ভাতে’।
‘মঙ্কি বার’-এর শেফ ইতি মিশ্র বাঙালির সাধের নানা পদগুলির ভোল একেবারেই বদলে দিয়েছেন তাঁর হাতের জাদুতে। ‘মাংসের ঝুরিভাজা’ হল তার এক্সপেরিমেন্টের এক জিভে জল আনা দৃষ্টান্ত।
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ অক্টোবর অবধি চলবে এই ফু়ড থিম। পুজোয় প্যান্ডেল হপিংয়ের মাঝে ঢুঁ মারতেই পারেন এই রেস্তরাঁয়। পুজোয় বেলা ১২ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে দুটি রেস্তরাঁই।
দুই রেস্তরাঁতেই খাবার মিলবে একেবারে পকেটসই দামে। ‘মঙ্কি বার’ –এ দু’জনের জন্য খরচ পড়বে প্রায় ১১০০ টাকা। ‘দ্য ফ্যাটি বাও’-এ খেতে হলে দু’জন খেতে খরচ হবে ১৫০০ টাকা, সঙ্গে অতিরিক্ত কর।