কলকাতা, পুজো, আনন্দ আর উৎসব— এ সবের মধ্যে ছবি নিয়েও ব্যস্ততা তুঙ্গে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের। পুজোর আগে তাই কেনাকাটা বা অন্যান্য পরিকল্পনার চেয়ে শুটিংয়ে সময় দিতে হচ্ছে বেশি করে।
এই বছর মুক্তি পেতে চলেছে অর্পিতার বেশ কিছু ছবি। প্রতিটি ছবির গল্প নিয়েই আশাবাদী অভিনেত্রী। এমনিতেই তিনি সব ছবিতে সই করেন না। গল্প, চিত্রনাট্য পছন্দ হলে তবেই সে ছবিতে রাজি হন।
পুজোর আগেই শুরু হল শিলাদিত্য মৌলিকের পরিচালিত ছবি ‘হৃদপিণ্ড’-র শুটিংয়ের কাজ। এই ছবিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে অর্পিতাকে।
শুধু এই ছবিই নয়, এরই সঙ্গে তাঁকে সময় বার করতে হচ্ছে ‘গুলদাস্তার’ ছবির জন্য। সেই ছবিরও শুটিং শুরু হয়েছে। এই ছবিতে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা যাবে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে।
‘পূর্ব পশ্চিমে দক্ষিণ উত্তর আসবেই’-তে এক অন্য ভূমিকায় দেখা যাবে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কে। এই রকম একটা বিষয় নিয়ে তাঁর প্রথম কাজ এটি।
তবে শুটিংয়ের ব্যস্ততা সামলেও পুজোর আমেজ চেটেপুটেই নিতে চান তিনি। কলকাতার পুজো, আনন্দ, উৎসবের আবহ এগুলো তাঁর ভারি পছন্দের।
তবে এ বারের পুজোর আমেজ একটু অন্য ভাবে উপভোগ করবেন অর্পিতা। কলকাতা নয়, এ বার অন্য শহরে সপরিবার পুজো কাটবে তাঁর। পুজোর ক’টা দিন মুম্বইয়ে শ্বশুরমশাইয়ের বাড়ির পুজোতে থাকবেন তিনি।
অভিনয়ের সঙ্গে একই ভাবে নাচ, গান ও লেখালিখির প্রতি অর্পিতার গভীর অনুরাগ রয়েছে। পুজোর দিনগুলোয় তাই চেষ্টা করবেন নিজের শখগুলোকেও ঝালিয়ে নিতে। ছুটির ফুরসত পেলেই মাঝে মাঝেই এগুলোকে আশ্রয় করেন তিনি।
তবে এ সবের মাঝেও চুটিয়ে সংসার করতে পছন্দ করেন তিনি। বর প্রসেনজিৎ ও ছেলের সব খুঁটিনাটি দিকেই তাঁর কড়া নজর থাকে তাঁর। সংসারের পাশাপাশি, অভিনয়, নিজের শখ, দিল্লিতে নিজস্ব ব্যবসা— সবই একা হাতে সামলান অর্পিতা।
এই বছর নৃত্যনাট্যের উপর ভিত্তি করে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের নতুন উপস্থাপনা আসছে সামনেই। ব্যস্ত রয়েছেন সেই উপস্থাপনার মহলা ও পরিকল্পনা নিয়েও।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতার সদ্য অভিনীত একটি বিজ্ঞাপন ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক আলোড়ন তুলেছে।
বর প্রসেনজিতের সঙ্গে তাঁর এত বছরের দাম্পত্যের মিষ্টিমধুর সম্পর্কের ছায়া ফুটে উঠেছে এই বিজ্ঞাপনে। এর পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, রিল লাইফেও যাঁদের জুটি এখনও এত পছন্দ করছেন মানুষ, তা হলে কি সিনেমাতেও ফের এই জুটির দেখা মিলবে?
যদিও এ নিয়ে একেবারেই মুখ খুলতে রাজি নন প্রসেনজিৎ-অর্পিতা। বরং দু’জনেই এই সব প্রশংসা বেশ রেলিশ করে উপভোগ করেন। ছেলে বড় হচ্ছে, তাই দু’জনেই ব্যস্ততার মধ্যে চেষ্টা করেন ছেলেকে, পরিবারকে একটু বেশি করে সময় দিতে।
এই বছর পুজোতে সারা বিশ্বময় ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা হিংসা ও অশান্তিকে দূরে সরিয়ে রেখে সকলকে শান্তিতে ও আনন্দে উৎসব কাটানোর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অর্পিতা। (মেক আপ: অনিরুদ্ধ চাকলাদার, পরিকল্পনা ও রূপায়ণে: অনিমেষ গঙ্গোপাধ্যায়, লোকেশন: র্যাডিসিও)।