দুর্গাপুজো আসবে কিন্তু বাঙালি পেটপুজোর কথা ভাববে না, তা আবার হয় নাকি! পুজোর ক’দিন কোন কোন রেস্তরাঁয় কী কী খাবার মিলছে, তা নিয়ে সুলুকসন্ধান চালাতে ভোজনরসিকদের জুড়ি নেই। কলকাতার বাছাই কিছু রেস্তরাঁর মেনু নিয়ে হাজির ‘আনন্দবাজার ডিজিটাল’।
‘রাজবাড়ির খাওয়া’। রেস্তরাঁর নামেই মালুম এখানকার মেনুতে কী কী থাকতে পারে। সন্তোষপুর সার্ভে পার্কের এই রেস্তরাঁ মূলত বাঙালি খাবারের অন্যতম সেরা ঠেক। এ বার পুজোতেও দু’ ধরনের বাঙালি থালির আয়োজন করেছে তারা।
গন্ধরাজ ভেটকি ভাপা, দমপোক্ত কাতলা, মালাবার মাটনে ঠাসা ‘কলাবতী’ থালি মিলবে মাত্র ৬০০ টাকায়। ‘মেঘমল্লার’ মেনুতে পাবেন লুচি, ছোলার ডাল, ফিশ ফ্রাই, চিকেন, চিংড়ি্র দুর্দান্ত স্বাদু খাবার। খরচ মাত্র ৫৫০ টাকা।
সল্টলেকের সেক্টর ১-এর ‘স্যান্ড’ রেখেছে ঢালাই বাঙালি পদের সম্ভার। আমিষ-নিরামিষ সবকিছুরই বহুল প্রচলিত ও সেরা পদ দিয়ে সেজেছে এদের পুজো মেনু।
কড়াইশুঁটির কাটলেট, মাছের ডিমের বড়া, পুর ভরা চালকুমড়ো যেমন স্টার্টারে রয়েছে, তেমনই কাতলা, পাবদা, চিংড়ি পার্শে, মুরগি, মাটনে ঠাসা ‘স্যান্ড’-এর মেন কোর্সের মেনুও জিভে জল আনবে। তেমনই উপাদেয় এর ডেজার্ট বিভাগও।
পূর্ণ দাস রোডের এই বাঙালি রেস্তরাঁটি বরাবরই এদের রান্নার হাতযশের প্রমাণ রেখেছে। বিশেষ করে এদের মাটন ও পোলাও খাদ্যরসিকদের বেশ প্রিয়। এ বার পুজোর মেনুতে দু’টি স্পেসাল থালি তো থাকছেই, এ ছাড়াও বিভিন্ন দামে রাখা হয়েছে নানা বিভাগ।
চিংড়ি, বেটকি, চিকেন, মাটন সবই মিলবে এই দুই ধরনের থালিতে। তবে ইলিশ-সহ এই থালির দাম পড়বে ১ হাজার ১৯৯ টাকা। ইলিশ ছাড়া মিলবে ৮৯৯ টাকায়। এ ছাড়া আ লা কার্টে মেনু থেকেও বিভিন্ন দামে মিলবে মনের মতো আমিষ-নিরামিষ পদ।
পূর্ণ দাস রোডেরই অপর একটি রেস্তরাঁ ‘তেরো পার্বণ’। রেস্তরাঁয় ঢুকলেই মনে হয় যেন পুরনো আমলের জমিদার বাড়ির অন্দরে ঢুকে পড়েছেন। খড়খড়ির জানলায় গায়ে কৌশলে লাগানো রয়েছে এসি, বাইরে থেকে দেখলে বোঝাই যায় না।
আলু পোস্ত, মোচার ঘণ্ট, ধোকার ডালনা থেকে ভেটকি, ইলিশ, কাতলা, পাবদা, মুরগি, মাটন— বাঙালির ভূরিভোজের প্রায় সব কটা পদই হাজির থাকছে এদের মেনুতে। তবে আলাদা করে কোনও থালির আয়োজন নেই।পছন্দসই পদ বেছে নিন মেনু থেকেই।
সল্টলেক সেক্টর ৩-এর ‘ফার্স্ট ইনিংস’ পুজোয় রেখেছে বাহারি খাবারের আয়োজন। বাফে মেনুতে থাকছে পুরোটাই বাঙালি আমেজ। নানা সাবেক বাঙালি রান্নার খোঁজ মিলবে এই ঠিকানায়। আমিষ ও নিরামিষ দু’রকমের খাবারই ঠাঁই পেয়েছে এতে।
মুর্শিদাবাদি মুরগি ফ্রাই, মাছের ডিমের বড়া, পোলাও, ছানা মেথি মটর, সরষে নারকল চিংড়ি, কষা মাংস, খেজুরের গুড়ের পায়েস এ ছাড়াও থাকছে আরও অনেক পদ। পুজোর ক’দিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে অবধি এবং সন্ধে ৭টা থেকে ভোররাত অবধি খোলা থাকবে রেস্তরাঁ।
সল্টলেক সেক্টর ৩-এর ‘চার্নক’ এই পুজোয় ফিউশন খাবারের সম্ভার রেখেছে তাদের আ লা কার্টে মেনুতে।
পমফ্রেট ফ্রাই হুইথ ছানার ডালনা, মাহি টিক্কা হুইথ পি পিউরি সস্ এ ছাড়াও থাকছে নানা বাহারি খানা।