লম্বা গলার হার। কানে জমকালো রঙিন দুল। নাকে বড়ো নথ। আফগানি মহিলাদের এই সাজ ভারতীয় ফ্যাশনেও ভীষণ ‘ইন’। রঙিন পাথর, ফুলেল মোটিফ, কয়েন ও তারজালির কাজই আফগানি গয়নার বিশেষত্ব।
পুজোতেও তাই বেছে নিতে পারেন আফগানি সাজ। কলকাতার হাতিবাগান, নিউ মার্কেট ও বেশ কিছু নামী বাজার চত্বরেই পাবেন আফগানি গয়নার নানা সম্ভার। পোশাকের সঙ্গে খাপ খাইয়ে পরুন সে সব।
খাদি কিংবা স্লিক বর্ডার যুক্ত হ্যান্ডলুমের সঙ্গে গলায় পরে ফেলুন একটা মাল্টিলেয়ার কয়েন নেকলেস। রঙিন পাথর ও কাচের কারুকাজ এই ধরনের নেকলেসে আনে অভিনবত্ব।
এ বার পুজোয় একরঙা ড্রেস অথবা শাড়ি কিনেছেন? একটু অন্য রকম সাজতে চাইলে সঙ্গে পরে ফেলুন চোকার নেকলেসের সেট। বাজারে কম-বেশি নানা দামেই পেয়ে যাবেন এই ধরনের চোকার নেকলেস।
খুব বেশি গয়না পরতে ভালবাসেন না? পুজোতেও থাক হালকা সাজগোজ। কানে পরে ফেলুন ফুলেল মোটিফের আফগানি দুল অথবা ঝুমকো। শাড়ি অথবা ড্রেস যে কোনও পোশাকের সঙ্গে ভাল মানাবে।
বেশি জমকালো পোশাক বা মেকআপের সঙ্গে একেবারেই যাবে না এই গয়না। পুজোর সাজে কেবল এই আফগানি দুলেই করতে পারেন বাজিমাত। ভারী কাজের এই দুল পেয়ে যাবেন দেড় হাজার টাকার মধ্যে।
হাতের পরুন ওভারসাইজড আংটি। রঙিন পাথর বসানো বা শঙ্কর ধাতুর উপর নিখুঁত হাতের কাজের এই আংটি আপনার সাজে এনে দেবে অভিনবত্বের ছোঁয়া। এর বাজার মূল্য ১৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে।
হাতে একটি বালা অথবা চওড়া বাহুবন্ধ পরলেই শেষ পুজোর সাজ! হাতের এই আফগানি বালাই আপনার পুজোর সাজে এনে দেবে একটা ট্রাইবাল টাচ।
বালা ভাল না বাসলে হাতে একটা রকমারি পাথর যুক্ত আফগানি ব্রেসলেট পরুন। বদলে যাবে ফেস্টিভ লুক। হাজার থেকে তিন হাজার টাকার বাজেটেই আপনি পেয়ে যাবেন এই ব্রেসলেট।
উৎসবের সাজে চমক এনে দিতে পারে রকমারি ফুলেল মোটিফের এই ধরনের পেনডেন্ট। তবে প্রিন্টেড পোশাকের সঙ্গে এই রকম পেনডেন্ট না পরাই ভাল। মোটামুটি হাজার-দেড় হাজারেই মিলবে এই গয়না।