পুজোর বাকি আর মাত্র কটা দিন। কেনাকাটা প্রায় শেষের পথে। জামা-ব্যাগ-গয়নার সঙ্গে কিনে ফেলেছেন ম্যাচিং জুতোও।
ফ্ল্যাট কিংবা বক্স হিল, ওয়েজ থেকে শুরু করে পেনসিল হিল— অনেক জুতোই ঢুকে পড়েছে আপনার শপিং ব্যাগে।কিন্তু চিন্তায় পড়েছেন পায়ে ফোস্কা পড়ার কথা ভেবে?
পুজো মানেই অনেক আড্ডা আর প্রচুর ঠাকুর দেখা। কিন্তু অনেক সময়ই ঠাকুর দেখায় বাধ সাধে পায়ের ফোস্কা। আর তাতেই নষ্ট হয় ঠাকুর দেখার মজা।
নতুন জুতো পরলে অনেকেরই পায়ে ফোস্কা পড়ে। তবে কিছু ছোট ছোট উপায় অবলম্বন করলে আপনি এই সমস্যা এড়িয়ে যেতে পারেন সহজেই।
জুতো কেনার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখুন। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখার জন্য এমন জুতো বাছুন, যা পরে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন। জুতোর ভেতরের সোল যেন হয় নরম।
জুতো যেন বেশি আঁটোসাঁটো না হয়।বেছে নিন স্নিকার জাতীয় জুতো।
ঘুরতে বেরোনোর সময় স্যান্ডেল বা ফ্ল্যাট জুতো পরাই ভাল। হিল জুতোয় স্বাচ্ছন্দ্য হলে পরতে পারেন ছোট হিলের জুতো। পায়ে লাগান ক্রিম।
একটু বেশি হিল পরার ইচ্ছা থাকলে বেছে নিন ওয়েজ অথবা বক্স হিলের মতো জুতো। এতে আপনার হিলও পরা হবে, অথচ পায়ে ব্যথা হওয়া বা ফোস্কা পড়ার আশঙ্কা কম থাকবে।
নতুন জুতো পরার আগে পায়ে লাগিয়ে নিন ভেজলিন। লাগিয়ে নিতে পারেন নারকেল তেলও। এতে পা নরম থাকবে। ফোস্কাও পড়বে না।
বেরোনোর সময় কাছে রাখুন ব্যান্ড এড। অনেক সময় নতুন জুতোয় পা কেটে যায়। তখন ক্ষতস্থানে লাগিয়ে নিন এই ব্যান্ড এড।
নতুন জুতো বেশি আঁটোসাঁটো হলে যেমন অসুবিধা হয়, তেমনই আলগা হলেও সমস্যায় পড়তে হয়। জুতো যদি আলগা হয়, তবে তার সামনে অল্প তুলো ঢুকিয়ে নিন। জুতো আর পা থেকে খুলবে না।
নতুন জুতো পরার আগে জুতোর শক্ত অংশে সামান্য তেল মাখিয়ে রাখুন। এতে জুতো নরম হবে, কমবে ফোস্কা পড়ার ঝুঁকি।
অনেক হেঁটে পায়ে যদি ফোস্কা পড়েও যায়, তা হলে লাগিয়ে নিন অ্যালোভেরা জেল। এতে ফোস্কা দ্রুত শুকিয়ে যাবে।
ভুল করেও ফোস্কা ফাটিয়ে ফেলবেন না। কোনও কারণে ফোস্কা ফেটে গেলে, তাতে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম লাগিয়ে ঢেকে রাখুন।