দুর্গোৎসবের একটি বড় অঙ্গ কুমারী পূজা। কুমারী পূজা নিয়ে আমাদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই।সাধারণত অষ্টমী বা নবমী তিথিতে এই কুমারী পূজা হয়ে থাকে। শাস্ত্রকাররা নারীকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে এই পূজা করতে বলেছেন।আমাদের সনাতন ধর্মে নারীকে সম্মানের শ্রেষ্ঠ আসনে বসানো হয়েছে।
দুর্গোৎসবের একটি বড় অঙ্গ কুমারী পূজা। কুমারী পূজা নিয়ে আমাদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই।সাধারণত অষ্টমী বা নবমী তিথিতে এই কুমারী পূজা হয়ে থাকে। শাস্ত্রকাররা নারীকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে এই পূজা করতে বলেছেন।আমাদের সনাতন ধর্মে নারীকে সম্মানের শ্রেষ্ঠ আসনে বসানো হয়েছে।
বৃহদ্ধর্মপুরাণে রামের জন্য ব্রহ্মার দুর্গাপূজার বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। তখন শরৎকাল, দক্ষিণায়ণ। দেবতাদের নিদ্রার সময়। তাই, ব্রহ্মা স্তব করে দেবীকে জাগরিত করলেন। দেবী তখন কুমারীর বেশে এসে ব্রহ্মাকে বললেন, বিল্ববৃক্ষমূলে দুর্গার বোধন করতে।
দেবতারা মর্ত্যে এসে দেখলেন, এক দুর্গম স্থানে একটি বেলগাছের শাখায় সবুজ পাতার রাশির মধ্যে ঘুমিয়ে রয়েছে একটি তপ্তকাঞ্চন বর্ণা বালিকা। ব্রহ্মা বুঝলেন, এই বালিকাই জগজ্জননী দুর্গা। তিনি বোধন স্তবে তাঁকে জাগরিত করলেন। ব্রহ্মার স্তবে জাগরিতা দেবী বালিকামূর্তি ত্যাগ করে চণ্ডিকামূর্তি ধারণ করলেন।
তন্ত্রসার মতে, ‘১ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত বালিকারা কুমারী পূজার উপযুক্ত। তাদের অবশ্যই ঋতুমতী হওয়া চলবে না।’এখন জেনে নেওয়া যাক বয়স অনুযায়ী কুমারীর নাম।
১ বছর বয়সি কন্যাকে সন্ধ্যা
২ বছর বয়সি কন্যাকে সরস্বতী,
৩ বছর বয়সি কন্যাকে কালিকা,
৫ বছর বয়সি কন্যাকে সুভগা,
৬ বছর বয়সি কন্যাকে উমা,
৭ বছর বয়সি কন্যাকে মালিনী,
৮ বছর বয়সি কন্যাকে কুব্জিকা,
৯ বছর বয়সি কন্যাকে অপরাজিতা,
১০ বছর বয়সি কন্যাকে কালসন্ধর্ভা,
১১ বছর বয়সি কন্যাকে রুদ্রাণী,
১২ বছর বয়সি কন্যাকে ভৈরবী,
১৩ বছর বয়সি কন্যাকে মহালক্ষ্মী
১৪ বছর বয়সি কন্যাকে পীঠনায়িকা,
১৫ বছর বয়সি কন্যাকে ক্ষেত্রজ্ঞা এবং
১৬ বছর বয়সি কন্যাকে অম্বিকা বলা হয়।
হিন্দুশাস্ত্রে এই সব নাম জগত মাতার স্বরূপের এক একটি গুণ প্রকাশ করে। প্রায় সর্বজাতীয় কুমারী কন্যাকেই কুমারীরূপে পূজা করা যেতে পারে। তবে কুমারী পূজার জন্য সাধারণত ৫ থেকে ৭ বছরের কন্যাকে মনোনীত করা হয়।