খবর তাঁদের ডেটিং নিয়ে। প্রেম নিয়ে। সোহিনী আর অনির্বাণ। তবে সে সব গুজবে তাঁরা কান দেন না। দু'জনেই পুজোর আগে হাজির শর্বরী দত্তর 'শূন্য'-তে। এক জন গরদের পাঞ্জাবি আর লাল পোড়া ধুতিতে রাজকীয়।
অন্য জন রং মিলিয়ে কোমরে জড়িয়ে নিচ্ছেন সাদা জমির লাল পেড়ে বেনারসি। কপালে লাল টিপ। অনির্বাণের সামনে এসে দাঁড়ালেন সোহিনী। মুহূর্তরা সাক্ষী রইল বন্ধুতার।
হাতে লাঠি বা চশমার সাজে পুজোর জন্যই অনন্য হয়ে উঠলেন অনির্বাণ। কঠিন মুখে ভারী গলায় বললেন, ‘‘সোহিনী আমার শুধুই খুব ভাল বন্ধু। অনেক বার বলেছি। আমি অন্য আর এক জনকে বিয়ে করব।’’
কাছাকাছি দাঁড়ালেন ছবির জন্য। কখনও আলতো করে কাঁধে হাত। শর্বরী দত্তর পুজোর কালেকশন দেখে মুগ্ধ সোহিনী। শার্টের উপর বাহারি জ্যাকেট চাপিয়ে বললেন,‘‘অভিনব! নিজেকে এ ভাবে দেখব ভাবিনি। শর্বরীদির পক্ষেই সম্ভব আমাকে এ ভাবে সাজিয়ে তোলা।’’
এ বার শর্বরী দত্তর ‘শূন্য’-তে শাড়ি ছেড়ে সোহিনী ইন্দো-ওয়েস্টার্ন পোশাক পরে ফেলেন। অনির্বাণ তত ক্ষণে শার্টের সঙ্গে আর একটা বাহারি জ্যাকেট।
‘‘ভাল তো আমাদের বন্ধুতা, আমাদের জুটি নিয়ে মানুষের এত আগ্রহ থাকলে আরও বেশি কাজ পাওয়া উচিত তো আমাদের।’’ আলতো হাসি সোহিনীর মুখে।
অনির্বাণের নতুন নাটক 'পন্তু লাহা' আসছে পুজোর পরেই। গুমনামীর প্রমোশনের সঙ্গে সঙ্গে চলছে এই নাটকের মহলা।
এমনিতেই ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত-'আগন্তুক' নিয়ে ব্যস্ত সোহিনী। সঙ্গে আছে 'মহাভারত'নাটকের মহলা। তবে পোশাদার সোহিনী 'পন্তু লাহা'-র জন্য সময় রেখেছেন।
শুট শেষ। কাজ আছে, তাই আগে বেরবেন অনির্বাণ। শর্বরী দত্তর পোশাক ও নকশায় একরাশ মুগ্ধতা সোহিনীর মুখে। অনির্বাণও খুশি নতুন সাজে নিজেকে দেখে। পোশাক সৌজন্য ‘শূন্য’( শর্বরী দত্ত)।