পুজোতে ঘোরাফেরা, আড্ডা, খাওয়াদাওয়া আর সেই ফাঁকেই যদি মণ্ডপে দেখা পেয়ে যান তারকাদের, তাহলে তো কোনও কথাই নেই! শুক্রবার বেলা বাড়তেই কলকাতার হাজরা পার্কের মণ্ডপের সামনে ভক্তদের ভিড়টা জানান দিচ্ছিল কিছুটা এমনই। ভিতরে তখন অঞ্জলিতে মগ্ন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
এ দিন ব্যস্ততার ফাঁকেই হাজরা পার্কের দুর্গোৎসবে হাজিরা দিয়েছিলেন বুম্বাদা। বেলা গড়িয়ে তখন দুপুর, মণ্ডপের সামনে সাদা গাড়ি এসে দাঁড়াতেই দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়!
পরনে আকাশি রঙা পাঞ্জাবি, চোখে রোদচশমা। বরাবরের মতোই নজরকাড়া প্রসেনজিৎ। তিনি এলেন, নিষ্ঠাভরে অঞ্জলিও দিলেন সকলের সঙ্গে।
মায়ের কাছে কী চাইলেন তিনি? বুম্বাদা বলেন, ‘‘আমি পুজোতে কোনও দিনই বেশি মাতামাতি করি না। খুব একটা বেরোতে পারি না। আমার একটাই চাহিদা, সবাই খুব ভাল থাকুক এবং শান্তিতে থাকুক।’’ অভিনেতা জানান, মায়ের কাছে প্রার্থনা করার জন্যেই তাঁর এখানে আসা। এর সঙ্গে প্রচারের কোনও সম্পর্ক নেই।
প্রসেনজিতের কাছে এই বছরের দুর্গাপুজোটা খুব আনন্দের। কেন জানেন? দীর্ঘ ১৩-১৪ বছর পর কলকাতার পুজো উপভোগ করছেন তাঁর ছেলে তৃষাণজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমার ছেলের পুরো সময়টাই কেটেছে হস্টেলে। ও বহু বছর পর কলকাতার ঠাকুর দেখছে। ওর জন্য আমার খুব আনন্দ হচ্ছে।’’
পুজোর পাঁচটা দিন পছন্দের খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে পছন্দের সাজও। পুজোর দিনের জন্য কি আলাদা করে পাঞ্জাবীটা আজও তুলে রাখেন তিনি?
একটু হেসেই প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘না, আলাদা করে পাঞ্জাবী তুলে রাখার দিন চলে গিয়েছে। এখন সেটা বাড়ির ছোটদের জন্য রাখা থাকে।’’
অভিনেতা জানান, অনেক সময় নাকি তাঁর পাঞ্জাবীটাই পরে নেন তাঁর ছেলে। তিনি বলেন, ‘‘অনেক সময় হয় তো ভেবে রাখি, এই পাঞ্জাবীটা সকালে পরে বেরোবো। উঠে দেখি আমার ছেলেই পরে নিয়েছে। এটা নিয়ে আমার কিছুই করার নেই।’’ বলেই হাসি...