দুর্গা পুজো চলে গেলেও উৎসবের মরসুম কিন্তু অভি বাকি হ্যায়! তবে শুধু উৎসবের মাস নয়, শরীর এবং ত্বকের যত্ন চাই বছরভর। সেই রুটিনই মেনে চলেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।
৪০-এর কোঠা পার করেও তিনি যে ভাবে নিজের তারুণ্য বজায় রেখেছেন, তাতে এক কথায় বলাই যায়, অভিনেত্রীর কাছে বয়স যেন সংখ্যা মাত্র! কী ভাবে বয়স ধরে রেখেছেন তিনি?
যোগের সঙ্গেই কিন্তু রয়েছে এর যোগসূত্র! যোগাসনের প্রতি জয়ার ভালবাসার কথা কে না জানেন? যতই ব্যস্ততা থাকুক, রোজ সকালে উঠে যোগাসনে মন দিতে ভোলেন না তিনি। যোগেই হবে মন এবং শরীর- দু’য়ের ‘যোগ’ আসান!
এ পার বাংলা হোক বা ও পার বাংলা– তারকাদের ফিটনেস রুটিনের অন্যতম একটি অংশ হল জিম অর্থাৎ নিয়মিত শরীরচর্চা। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী নন জয়াও।
দৌড়নো এবং পিলাটেস, জয়ার মতো আপনিও রোজকার সঙ্গী করে তুলুন এই দুই শরীরচর্চাকে। স্বাস্থ্যও যেমন ভাল থাকবে, মেদও ঝরবে দ্রুত।
ভাবছেন শরীরচর্চা মানেই খাওয়াদাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা? জয়ার ব্যক্তিগত পরামর্শ কিন্তু অন্য। বরাবরই ভোজনরসিক এই অভিনেত্রী বিদেশি খাবার থেকে ঘরের একান্ত আপন পান্তা ভাত– কোনও কিছুই ছাড়েন না কিন্তু।
হ্যাঁ, তবে শরীরচর্চার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিনের শুরুটা। পুষ্টিবিদদের মতে, চা-বিস্কুট খেয়ে দিন শুরু করার অভ্যাস নাকি শরীরের জন্য সবচেয়ে খারাপ। এমনই মনে করেন জয়াও। কাজেই তাঁর দিন শুরু হয় উষ্ণ গরম জল এবং ফলের সঙ্গে। পাশাপাশি প্রাতরাশ সারেন ডিমের সাদা অংশ দিয়ে।
শরীরের তারুণ্য ধরে রাখতে নিজেকে বাঁধাধরা নিয়মে বন্দি করতে নারাজ তিনি। তাঁর মতে, জীবন চলবে সাধারণ ছন্দে। শুধু ভরসা রাখতে হবে নিয়মিত শরীরচর্চা এবং সামান্য কিছু খাদ্যাভ্যাসের উপরেই। পরামর্শ স্বয়ং জয়ার।