Durga Puja Celebration

পুজোয় অনেক দিন না-দেখা বন্ধুকে দেখার অপেক্ষায় আছি

আমি তো ওল্ড স্কুলের! আমার ওই আলতা পরা সাবেক সাজের বাড়ির মহিলাদের দেখতে খুব ভাল লাগে।

Advertisement

অমৃতা চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৬:৩০
Share:

অমৃতা চট্টোপাধ্যায়

দুর্গাপুজো মানে উত্তেজনা। কোন শিল্পী? কী থিম? হোর্ডিং পড়ে যায় এখন আগেই।সেগুলো দেখতে দেখতে মনে হয়, ওরে বাবা পুজো এসে গেল তো! শপিং-ই তো হয়নি ভাল করে।
পুজোর মাত্র চারটে দিন। কোনওটাই মিস করা যাবে না।
পুজোর একটা দিন পরিবারের সঙ্গে উত্তর কলকাতার বনেদি বাড়ি দেখতে যাব। আমি তো ওল্ড স্কুলের! আমার ওই আলতা পরা সাবেক সাজের বাড়ির মহিলাদের দেখতে খুব ভাল লাগে। একটা বাড়িতে যেমন বোধনের সময় গিয়ে দেখেছিলাম, মা দুর্গা থেকে বাড়ির মেয়েদের সোনার গয়না পরা, এমনকি সিংহ মশাইকে সোনার হার পরা, দেখতে খুব ভাল লেগেছিল।
মা আর আমার ছোটবেলার অনেকটা সময় কেটেছে হাজরায়। তাই এক অর্থে আমাদের পুজো মানে ম্যাডক্স স্কোয়ারের পুজো।অষ্টমীর দিন ম্যাডক্সে মায়ের মুখটা না দেখলে পুজো যেন সম্পূর্ণ হয় না। আর আমাদের পাড়ার পুজো বোসপুকুর। খুব ভিড় হয় ঠাকুর দেখতে, তাই একেবারে শুরুতে বা দশমীর দিন ওখানকার ঠাকুর দেখতে যাই।

Advertisement

সাবেকি সাজে

পুজোবাড়ি বা এরকম জায়গাযেখানে আড্ডার সঙ্গে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও রইল। ছোটবেলার হুগলির বাড়ির কথা মনে পড়ে, এক্কেবারে লক্ষ্মীপুজো কাটিয়ে আসতাম। বড় পরিবার আমাদের। তাই পুজোয় জামাকাপড় দেওয়া নেওয়ার ব্যাপার থাকে। অনেককে আবার পুজোসংখ্যা দিতে হয়। দিন পনেরো আগেই আমাদের বাড়ি পুজোসংখ্যার স্টলে পরিণত হয়। সব পুজোসংখ্যা বাড়িতে আসে। ছোটবেলায় তো শীর্ষেন্দুর উপন্যাস কে আগে পড়ল? কে সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় পড়ল? এখন বন্ধুদের এই আলোচনা খানিকটা কমেছে। এ বার ‘সানন্দা’য় যেমন আমার ছবি আছে, সেটা সংগ্রহ করেছি।
পুজোর সাজ আমার কাছে এক্কেবারে সনাতনী। মায়ের বুটিকের শাড়ি। কখনও লং স্কার্ট। লং কুর্তি। সঙ্গে রূপোর গয়না। রোজের দিনের জিনস্ টপ আলমারিতে তোলা থাকে।
সারা বছর প্রচুর রেসট্রিকশন মেনে চলি তা নয়। মোগলাই আমার তেমন ভাল লাগে না। চাইনিজ বা কন্টিনেন্টাল বা খাঁটি বাঙালি খাবার এক এক দিন এক একরকম। তবে অষ্টমীতে বাড়ির লুচি মাস্ট। ওটা খেয়ে তারপর যথা ইচ্ছা তথা যা... আর পুজোতে ম্যাডক্স স্কোয়ারের ক্যান্ডিফ্লস চাই-ই চাই!
পুজোয় প্রেম প্রেম ব্যাপার তো থাকেই। কলেজের সবাই দল বেঁধে বেড়ানো। একটু তাকানো প্রেম প্রেম।আশপাশে লোকজন প্রেম করছে দেখে ভাল লাগে। পুজোতে প্রেম বেড়ে যায়।
বছরখানেক দেখা হয়নি তেমন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে।হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ হয়েছে। কথাবার্তা চলছে।
অনেক দিন না-দেখা বন্ধুর দেখা পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement