Durga Puja 2022

প্রচুর খেলেও যেন রোগা থাকতে পারি, মা দুর্গার কাছে আবদার ওয়ান্ডার মুন্নার

ছোটবেলা থেকেই প্রত্যেক পুজোয় চুটিয়ে প্রেম করেছেন ইন্দ্রানী। প্রতি পুজোর সঙ্গে পাল্টে যেত প্রেম করার মানুষটিও।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:১৭
Share:

ছবি- সোশ্যাল মিডিয়া

ইউটিউব থেকে ফেসবুক পেজ, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলার এই মেয়ে। দিল্লির চাকরি জীবনকে না বলার সাহস দেখিয়ে পা রেখেছেন ভিডিয়ো কনটেন্ট তৈরির দুনিয়ায়। একের পর এক মজাদার ভিডিয়োয় নেট দুনিয়ার মন কেড়ে নিজের জায়গা রীতিমতো পাকাও করে ফেলেছেন ইতিমধ্যে। তিনি, বাংলার ইউটিউব ক্রিয়েটর ইন্দ্রাণী বিশ্বাস। যাকে এখন এক ডাকে চেনে ‘ওয়ান্ডার মুন্না’ নামেই। সেই ইন্দ্রাণীর পুজোর ঝাঁপি খুলল আনন্দ উৎসবের কাছে।

Advertisement

এ বছরের পুজো প্রায় দোরগোড়ায়। আর প্ল্যান থাকবে না? তা-ও কি হয়? ঠাকুর দেখা থেকে পাড়ার পুজোর প্যান্ডেলে জমিয়ে আড্ডা, সবটাই ওয়ান্ডার মুন্নার পছন্দের তালিকায়। পঞ্চমী থেকে নবমী কাটে পাড়ার পুজোয়। চতুর্থীর সকালে ভিড় এড়াতে জমিয়ে প্যান্ডেল হপিং। পুজোয় পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখার ফাঁকে বিশেষ মানুষটির জন্যও বরাদ্দ থাকে বিশেষ সময়।

ছোটবেলার পুজো কেটেছে দেদার মজায়। তখন স্মার্ট ফোন ছিল না। পাড়ার প্যান্ডেলেই কাটত বেশির ভাগ সময়। কখনও সকলে মিলে নানা রকম মজার খেলায় মাতা, কখনও বা ক্যামেরায় দল বেঁধে ছবি তোলা চলত। পঞ্চমীতে পাড়ার মণ্ডপে মা দুর্গাকে নিয়ে আসার অনুভূতি সেই ছোটবেলা থেকে এখনও একই রকম তাজা ‘ওয়ান্ডার মুন্না’র কাছে। বছরের এই সময়টায় মায়ের বকাঝকা থাকত না, রাত ১২টা পর্যন্তও খেলাধুলাতেও বারণ ছিল না। ছোটবেলার পুজোর সেই বাঁধনছাড়া আনন্দের সময়টা আজও ‘ওয়ান্ডার মুন্নার’ কাছে ভারী পছন্দের।

Advertisement

ছবি- সোশ্যাল মিডিয়া

ছোটবেলা থেকেই প্রত্যেক পুজোয় চুটিয়ে প্রেম করেছেন ইন্দ্রানী। প্রতি পুজোর সঙ্গে পাল্টে যেত প্রেম করার মানুষটিও। সে অভ্যাস পাল্টেছে বড় হয়ে। বেশ কয়েক বছর হল এক জনের সঙ্গেই পুজো কাটছে মুন্নার। তাঁর বিশ্বাস, বাকি পুজোগুলোও এই মানুষটির সঙ্গেই কাটবে।

মা দুর্গার কাছে বর নয়, বরং আবদার জানিয়েছেন ওয়ান্ডার মুন্না। পুজোয় এক দিনের জন্য হলেও ছোটবেলায় ফিরে যেতে চান। জমিয়ে সেই মজাটা আরও এক বার উপভোগ করতে চান নতুন করে। আজকাল সামান্য বিষয়েও বড্ড রেগে যান। তাই রাগটা যাতে একটু কমে, সেই আবদার জানাবেন মায়ের কাছে। তবে হ্যাঁ, পুরো রাগ চলে যাক তা অবশ্য চান না! আর সেই সঙ্গেই প্রচুর খেলেও যেন মোটা না হন, এই বায়নাও থাকছে ওয়ান্ডার মুন্নার।

এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement