Durga Puja 2022

ভোগ খাওয়া থেকে পুজোর আড্ডা ! কী র‍য়েছে পায়েলের পুজোর প্ল্যানে?

ছোটবেলায় পুজোর আগে স্কুলেই হত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অভিনেত্রীর কথায়, “তখন কেউ স্কুলে যাওয়া মিস করতো না। কারও পেট ব্যথা, জ্বর কিচ্ছু হত না!”

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:২৫
Share:

ছবি সৌজন্যে: পায়েলের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেল

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে পায়েল সরকারের নতুন ছবি ‘সীমান্ত’। আবার ১৫ই সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর ‘হার মানা হার’। দুই ছবির প্রচার নিয়ে আপাতত খুব ব্যস্ত অভিনেত্রী। তার মধ্যেই। ফলে উত্তেজনা দ্বিগুণ। তারই মধ্যে একান্ত আলাপচারিতায় এ বারের পুজোর প্ল্যান থেকে ছোটবেলার স্মৃতি, সব নিয়েই অকপট পায়েল।

Advertisement

পায়েলের পুজো মানে বরাবরই কলকাতা। পুজোর ক’দিন শহরের বাইরে যেতে নারাজ অভিনেত্রী। কমপ্লেক্সের পুজোতেই বেশির ভাগ সময় কাটে। সেখানেই পুজোর পাঁচটা দিন কাটাতে চান পায়েল। আগেভাগে প্ল্যান করায় খুব একটা বিশ্বাসী নন অভিনেত্রী। তবে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা বাদ যাবে না কোনও ভাবেই। পায়েল জানালেন, পুজোর পাঁচ দিন নানা রকমের অনুষ্ঠান হয় তাঁদের কমপ্লেক্সে। সেখানেই সবার সঙ্গে মজায় মেতে সময় কাটে। সপ্তমী থেকে দশমী, চার দিনই থাকে ভোগের ব্যবস্থা। সঙ্গে কমপ্লেক্সের ভিতরে হরেক রকম খাবারের স্টল। পুজোর ক’টা দিন খাওয়াদাওয়া সেখানেই।

আর ছোটবেলার পুজো? বলতেই পায়েল যেন ফিরে গেলেন স্কুলবেলায়। জানালেন, পুজোর আগে স্কুলে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হত। নাচ, গান, নাটক- সবই ছিল তাতে। আর অনুষ্ঠানের আগে চলত মহড়া। সেই সময়ে রোজ স্কুলে যেতেও ছিল ভারী মজা। হাসতে হাসতেই অভিনেত্রী বললেন, “তখন কেউ স্কুলে যাওয়া মিস করত না। কারও পেট ব্যথাও হত না, জ্বরও আসত না।” আর অনুষ্ঠান শেষ হলেই পুজোর ছুটি। সবাই অপেক্ষায় থাকত সেই দিনটির।

Advertisement

কোন পুজো তবে বেশি উপভোগ করেন পায়েল? অভিনেত্রীর দাবি, তাঁর কাছে দুটোই খুব কাছের। ছোটবেলার পুজোয় ছিল এক ধরনের নিষ্পাপ মজা। বড় হয়ে এখন তিনি অনেক বেশি স্বাধীন। ছোটবেলায় যা করতে পারতেন না, এখন চাইলেই তা করতে পারেন। সে আবার আর এক রকম আনন্দ!

তবে পুজোর প্রেমের ব্যাপারে কিন্তু একদম উদাসীন পায়েল। তাঁর কথায়, “পুজোর প্রেম চিরকাল ওভার হাইপড একটা কনসেপ্ট।” পুজোয় বরং সাজগোজ, বন্ধুদের সঙ্গে টইটই-ই তাঁর অনেক বেশি পছন্দের।

এ বছর মা দুর্গার কাছে পায়েলের প্রার্থনা, আরও বহু দিন ধরে যেন এ ভাবেই মানুষের মন জয় করতে পারেন নিজের কাজের মাধ্যমে। পরিবারের সবাই যেন ভাল থাকে। আর তৃতীয় বরে পায়েলের ইচ্ছা, পুজো যেন সব মানুষের কাছে সমান আনন্দের হয়ে ওঠে। তার জন্য অভিনেত্রীর আবেদন, প্রত্যেকে বরং সেই মানুষদের পাশে দাঁড়ান, যাঁদের সাহায্য প্রয়োজন।

এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement