Follow us on

Download the latest Anandabazar app

© 2021 ABP Pvt. Ltd.

Advertisement

২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ই-পেপার

Shankarda Trip: সপ্তাহান্তে কোথায় যাবেন ভাবছেন? ঘুরে আসুন দলমা পাহাড়ের কোলে শঙ্করদা থেকে

অনেকেই আছেন নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করেন। তাঁদের জন্য শঙ্করদা একেবারে আদর্শ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:১৮

‘শঙ্করদা’। অদ্ভুত সুন্দর একটি নাম। দলমা পাহাড়ে ঘেরা নির্জন ও সুন্দর এই জায়গাটি এই নামেই পরিচিত। কলকাতা অনতিদূরে, অথচ অনেকেই শঙ্করদা-র সঙ্গে পরিচিত নন। অনেকেই নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করেন। এই জায়গাটি তাঁদের জন্য একেবারে আদর্শ। শোনা যায়, শঙ্কর নামে এক ব্যক্তি প্রথমে জঙ্গল কেটে বসতি স্থাপন করেন এখানে। চাষবাসও শুরু করেন। সাঁওতালরা তাঁকে শঙ্করদা বলে ডাকত। তার নাম থেকেই পরবর্তীকালে এই জায়গার নাম হয়ে যায় ‘শঙ্করদা’।


কী দেখবেন?

‘শঙ্করদা’কে ঘিরে রয়েছে দলমা পাহাড়। মাঝেমাঝেই দলমা পাহাড়ের ওপার থেকে হাতির পালও নেমে আসে। এই অঞ্চলে মূলত সাঁওতালদের বাস। চোখে পড়বে সাঁওতালদের গ্রাম ‘কাসিডি’। গ্রামবাসীদের মাটির বাড়ি, সহজ-সরল জীবনযাত্রা আপনার মন জিতে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এই ফাল্গুন মাসে ‘বাহা’ পরবে মেতে ওঠেন এই অঞ্চলের মানুষজন। এই গ্রাম থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন নারোয়া পাহাড়ের পাদদেশে ‘পাথরভাঙা’য়। নারোয়া পাহাড়ের নীচেই কুলুকুলু রবে বয়ে যাচ্ছে ‘গড়া’ নদী। গড়া নদী গালুডির কাছে মিশে যাচ্ছে সুবর্ণরেখা নদীতে।

Advertisement



কী ভাবে যাবেন?

ঋতুপরিবর্তনের এই সময় মহানগরীর জনকোলাহল থেকে দূরে থাকতে উঠে পড়ুন হাওড়া-বরবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেসে। মোটামুটি সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন টাটানগর স্টেশনে।
স্টেশনের বাইরে কয়েকটি অপেক্ষমাণ গাড়ি দেখতে পাবেন। যেগুলি আপনাকে পৌঁছে দেবে ‘শঙ্করদা’ গ্রামে। গাড়িতে উঠে শহরে কিছুক্ষণের মধ্যে শহুরে জনপদ ছেড়ে পৌঁছে যাবেন প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে। চাইবাসা রোড ধরে এগিয়ে চলবে গাড়ি। এই রাস্তায় দলমা পাহাড়শ্রেণিকে সঙ্গী করে সোজা চলে গিয়েছে চাইবাসা, বাংরিপোশি পেরিয়ে বরবিল অবধি। তবে শঙ্করদা যাওয়ার জন্য আপনাকে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়তে হবে গ্রামের কাঁচা রাস্তায়। লাল মাটির রাস্তা এঁকেবেঁকে চলে গিয়েছে ছোট ছোট গ্রামের মধ্যে দিয়ে। চারপাশের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ দু’চোখ ভরে দেখতে দেখতে আপনি পৌঁছে যাবেন ‘ শঙ্করদার এক মাত্র রিসর্টে।

কোথায় থাকবেন?

শঙ্করদায় থাকার মতো একটিই রিসর্ট আছে। খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা সেখানেই। আমিষ এবং নিরামিষ। দু’রকম খাবারেরই বন্দোবস্ত রয়েছে।

Advertisement