Follow us on

Download the latest Anandabazar app

© 2021 ABP Pvt. Ltd.

Advertisement

২২ নভেম্বর ২০২৪ ই-পেপার

Churches in Kolkata: সময় কাটিয়ে আসুন পুরনো কিছু গির্জায়, নতুন করে চিনে নিন কলকাতাকে

ঔপনিবেশিক ভারতের এক কালের রাজধানী কলকাতায় সেই সময়ের ইতিহাস বহন করে আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে বিখ্যাত বেশ কিছু গির্জা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:৩২

শুধু খ্রিস্টান নয়, আর্মেনিয়ান সহ ভিনদেশি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ সারা পৃথিবী থেকে দেখতে আসেন এই চার্চগুলি।

আকর্ষণীয় স্থাপত্য এবং শৈল্পিক কর্মকাণ্ডের তীর্থ ক্ষেত্র হিসাবে সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত এই শহর কলকাতায় দ্রষ্টব্য এত কিছু রয়েছে যে, তা কোনও একটি বাঁধাধরা তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে ভিন্ন ভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল সম্পর্কে আগ্রহী মানুষজনের জন্য কলকাতা অবশ্যই দর্শনীয়। ঔপনিবেশিক ভারতের এক সময়ের রাজধানী এই নগর সে সময়ের ইতিহাস বহন করে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিখ্যাত বেশ কিছু গির্জা। এর মধ্যে বেশির ভাগ গির্জারই বয়স এক শতাব্দীরও বেশি। কলকাতা শহরের আনাচ-কানাচে এই পীঠস্থানগুলি স্থাপত্যকীর্তিতে তথা এদের সমৃদ্ধ ইতিহাসে অবাক করবে আপনাকে। শুধু খ্রিস্টান নয়, আর্মেনিয়ান-সহ ভিনদেশি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ সারা পৃথিবী থেকে দেখতে আসেন এই চার্চগুলি।

সেন্ট পল্‌স ক্যাথিড্রাল চার্চ

১৮৪৭ সালে স্থাপিত কলকাতার বৃহত্তম ক্যাথিড্রাল চার্চ হিসাবে পৃথিবী বিখ্যাত এই সেন্ট পল্‌স ক্যাথিড্রাল। এই গির্জার সবচেয়ে আকর্ষক বৈশিষ্ট্য হল এর স্থাপত্যের অভিনব নকশা। এ ছাড়াও এর ভিতরের অপূর্ব কাচের জানলা আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবেই। নন্দনের পাশেই অবস্থিত এই গির্জার বাইরে অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে বাগান যা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই চার্চে আপনি ঢোকার অনুমতি পাবেন।

Advertisement
পুরনো  গির্জায় গিয়ে জানুন পুরনো কলকাতাকে

পুরনো গির্জায় গিয়ে জানুন পুরনো কলকাতাকে


ক্রাইস্ট দ্য কিং চার্চ

ব্যতিক্রমী স্থাপত্য নকশার আর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে ক্রাইস্ট দ্য কিং চার্চের কথা। পার্ক স্ট্রিটের কাছাকাছি জনবহুল রাস্তায় অবস্থিত এই গির্জার ভিতরের পরিবেশ কিন্তু অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ। মাতা মেরির একটি মূর্তি এই চার্চের ভিতর আপনাকে আকৃষ্ট করবে। সকাল সাড়ে ছটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছটা পর্যন্ত এই চত্বরে আপনি ঢুকতে পারবেন।

আর্মেনিয়ান চার্চ

১৭২৪ সালে নির্মিত কলকাতার প্রাচীনতম গির্জা হল বড়বাজারের কাছে অবস্থিত এই আর্মেনিয়ান চার্চ। এই গির্জাটি একটি কবরস্থান দ্বারা বেষ্টিত যেখানে ১৬৩০ সালের প্রাচীনতম সমাধিও দেখতে পাওয়া যায়। গির্জার অভ্যন্তরটি ভাল ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। ভিতরে রয়েছে একটি ছবির সংগ্রহশালা। এই চার্চের ভিতরের মার্বেলের স্থাপত্যকীর্তি দর্শকদের মুগ্ধ করে।

সেন্ট জনস চার্চ

সেন্ট জনস চার্চটি মূলত একটি ক্যাথিড্রাল ছিল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক কলকাতা শহরে নির্মিত প্রথম ভবনগুলির মধ্যে এটি একটি। কলকাতার তৃতীয় প্রাচীনতম গির্জা, সেন্ট জনস চার্চ ১৮৪৭ সাল পর্যন্ত কলকাতার অ্যাংলিকান ক্যাথেড্রাল হিসাবে কাজ করে। এর চত্বরে অসংখ্য স্মৃতিসৌধ রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে কলকাতার ব্ল্যাক হোলের স্মৃতি, দ্বিতীয় রোহিলা যুদ্ধের স্মৃতিসৌধ এবং লেডি ক্যানিংয়ের স্মৃতিসৌধ। এর একটি বৈশিষ্ট্য হল গির্জার মেঝে, যা গাঢ় নীল-কালো পাথর দিয়ে তৈরি। বিবাদী বাগের কাছে অবস্থিত এই গির্জা আপনি খোলা পাবেন সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।

সেন্ট অ্যান্ড্রুস চার্চ

এটি ভারতের একমাত্র স্কটিশ গির্জা। এই চার্চের লম্বা চূড়া একে কলকাতা শহরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য হিসাবে বিশ্বে পরিচিতি দিয়েছে। দুই শতাব্দী আগে ১৮১৮ সালে সর্ব প্রথম জনসাধারণের জন্য এটি খুলে দেওয়া হয়। যদিও পরবর্তী সময়ে অনেক বার সংস্কার করা হয়েছে এই গির্জা। ব্রেবোর্ন রোডে অবস্থিত এই চার্চে যেতে হলে সকাল দশটা থেকে দুপুর দুটোর মধ্যে পৌঁছতে হবে আপনাকে।

Advertisement