সিনিয়র সিটিজেনদের জন্যে অন্দরসজ্জায় ট্যালেডিশনাল লুকের পাশাপাশি রাখতে হবে আধুনিক আন্দরসজ্জাও।
আজকাল শহরে এবং শহরের আশপাশে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য নানা প্রজেক্ট হচ্ছে। প্রায় পাঁচ তারা হোটেলের মতোই সে সবের সুযোগ-সুবিধে। তথাকথিত বৃদ্ধাশ্রমের ভাবনাটাই নেই এখানে। অনেক সুন্দর তার অন্দরসজ্জাও। উপচে পড়ছে যেটুকু চাই।
তবে আমরা বেশির মানুষই বয়সকালে নিজেদের বাড়িতে থাকতেই পছন্দ করি। ছেলে বা মেয়ে বিদেশে থাকলে মাঝেমধ্যে সেখান যাওয়া, শহরের সবটুকু আনন্দে শামিল হওয়া, নিজেদের কোনও শখ নিয়ে ব্যস্ত থাকা, শরীরচর্চা এগুলোই অনেকের অবসর জীবন যাপন। কেউ আবার নাতি-নাতনিদের সঙ্গ, তাদের পড়াশোনা নিয়েই আরামে থাকেন। তাই বাড়ির সবচেয়ে বয়স্কদের জন্য বিশেষ যত্নে সাজিয়ে তুলুন তাঁদের নিজস্ব ঘর।
সিনিয়র সিটিজেনদের জন্যে অন্দরসজ্জায় একটু ট্র্যাডিশনাল লুক রাখতে হয়। সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই থাকে আধুনিক আন্দরসজ্জাও। যেমন ধরা যাক, পুরনো কোনো খাট কিংবা পালঙ্ক। যেটা হয়তো বহু বছরের স্মৃতি বহন করে চলেছে। সেই খাটটিকে অনেকেই ফেলে দিতে চান না। আবার বড় খাট বা পালঙ্ক অনেক রকমের ঘরেই মানানসই নয় এবং জায়গাও অনেক বেশী নিয়ে নেয়। সেক্ষেত্রে ফ্ল্যাটের ঘরের মাপ বোঝার সময় বা বাড়ি তৈরির সময়েইএটা মাথায় রাখতে হবে। পুরনো আসবাব থাকলে ঘরটা একটু বড় আকারের রাখুন। বয়স্কদের ঘর একটু বড় আকারের হলে তাঁদেরও হাঁটতে চলতে সুবিধা হয়।
সিনিয়র সিটিজেনদের জন্যে অন্দরসজ্জায় একটু ট্র্যাডিশনাল লুক রাখতে হয়
এমন অনেক আসবাবপত্রই থাকে যেগুলোকে নতুন সাজের সঙ্গেই যত্ন করে ব্যবহার করা যায়। আবার কিছু কিছু আসবাব থাকে অল্প কিছুটা এদিক ওদিক করে কাজে লাগিয়ে নেওয়া যায়। পুরনো চেস্ট অফ ড্রয়ারকে দারুন সুন্দর পেন্টিং করে অন্দরসজ্জায় ব্যবহার করা যায়।যেমন ব্যবহার করা যায় সুন্দর একটা কনসোলকে। ডাইনিং হল বড় হলে পুরনো খাবার টেবিল পালিশ করেও ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে চেয়ারগুলোতে নতুন গদি লাগিয়ে নিলেই যথেষ্ট নতুনত্বের ছাপ আসবে।
সিনিয়র সিটিজেনদের বসার এবং শোওয়ার ঘরে এলইডি আবশ্যক। সবসময় বসার ঘরে গিয়ে টিভি দেখতে ইচ্ছে করে না।তাই শোওয়ার ঘরেও আই লেভেলে টিভি রাখুন একটা। আই লেভেলের সামান্য উঁচু-নীচু হয়ে গেলে ঘাড়ের সমস্যা হতে পারে।
সিনিয়র সিটিজেনদের জন্যে বানানো খাটে কিংবা বক্স সোফা সেটে সব সময় হাইড্রোলিক সিস্টেম লাগানো দরকার। যাতে সহজে বক্স ব্যবহার করা যায়। ঘরে কিংবা বাথরুমে পিচ্ছিল জাতীয় মেঝের টালি একেবারেই ব্যবহার করা উচিত নয়। মার্বেল ব্যবহার করা যেতেই পারে। তবে মার্বেল ফিনিশ যেন খুব স্লিপারি না হয়। ঘরের কিংবা বাথরুমের মেঝের ঢাল যেন ঠিক থাকে,যাতে জল জমতে না পারে।বাথরুমের শাওয়ার এলাকা গ্লাস পার্টিশন বা কার্টন দিয়ে আড়াল রাখলে ভাল।
সিনিয়র সিটিজেনদের অন্দরসজ্জার ঘরের রঙের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। রং একেবেরেই যেন তীব্রগাঢ় না হয়। সোবার কালার স্কি—যেমন আইভরি, অ্যাপেল হোয়াইট, হালকা নীল এসব রংই ভাল। আসবাব বা পর্দাতে কনট্রাস্টে রং হবে।
আলোর ব্যবহারও যথাযথ হওয়ার দরকার। ঘরের পরিমিত আলোর ব্যবহারের সঙ্গে টেবিল ল্যাম্পবা সাইড ল্যাম্প কিংবা খাটের উপরের দেওয়ালে ডাউন ওয়াল ব্র্যাকেট লাগিয়ে নিতে পারেন। বই পড়তে বা অন্য কোনও কাজে সুবিধা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy