Follow us on

Download the latest Anandabazar app

© 2021 ABP Pvt. Ltd.

Advertisement

২২ নভেম্বর ২০২৪ ই-পেপার

লকডাউনে ওরাই তো দেখেছে আমাদের, বলছেন টলি-সেলেবরা

লকডাউনে বাড়ির পোষ্যরাও গৃহবন্দি ছিল। কেমন ছিল ওরা? দুই তারকা ভাগ করে নিলেন তাঁদের পোষ্যদের কথা।

শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী
কলকাতা ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:৫৩
প্রতীকী চিত্র


প্রতীকী চিত্র

যীশু সেনগুপ্ত

আমি যে খুব কট্টর পোষ্যপ্রেমিক, এমন নয়। ছোটবেলায় আমার বাড়িতে চারটে স্পিৎজ ছিল। ছোট থেকে তাই পেট কেয়ারটা জানি। আর যে হেতু ছোট থেকে ওদের দেখছি তাই ওদেরও বাড়ির সদস্য বলেই জানি। ছোটবেলা থেকেই ওদের সঙ্গে সখ্য । আর আমার মনে হয় ছোট থেকে পোষ্যপ্রাণীদের সঙ্গে বড় হলে যে কোনও শিশু অনেক বেশি সহমর্মী হয়। আমার বাড়িতে স্ত্রী এবং দুই মেয়ে খুব বড় পোষ্যপ্রেমী।

আমার পোষ্য কুকুরটির নাম ‘বাডি’। ও হল বিগ্‌ল। প্রায় ছয় বছর আগে ওকে নিয়ে আসা হয়েছিল। খুব সত্যিা কথা বলতে ওকে সেই ভাবে কখনওই সময় দিতে পারিনি। অতিমারির আগে আমাদের ক’জনের হাতে কতটুকুই বা সময় থাকত। সবাই তো ব্যরস্ত। কিন্তু লকডাউনে অনেক সময় পেয়েছি। আমার মেয়েরা বাডির খুব বড় সঙ্গী। ওরাই সারাদিন ‘বাডি’কে দেখাশোনা করে, সঙ্গ দেয়।

Advertisement

লকডাউনে আমিও ছিলাম। আমার মেয়েদের যেমন সঙ্গ দিয়েছি, প্রচুর সময় কাটিয়েছি তেমনই ‘বাডি’ও একই সঙ্গে আমার সঙ্গে অনেকটা সময় উপভোগ করতে পেরেছে। নিয়মিত চেষ্টা করতাম ওকে নিয়ে ঘুরতে যেতে। ও খুব উত্তেজিত হত। কারণ আমাকে এমন ভাবে ও কখনও বাড়িতে পায়নি। খেলাধুলো, আনন্দ তো ছিলই সঙ্গে ওর কিছু ছোটখাট দেখভালও করেছি। তবে সৎ ভাবে বলতে গেলে আমার স্ত্রী এবং মেয়েরাই ওর যত্নআত্তি করে সে লকডাউন হোক বা অন্য কোনও সময়।

সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়

আমার চারটে পোষ্যন। আমি ছোট্ট থেকেই খুব কুকুর ভালবাসি। সারমেয়প্রেমী বলতে পারেন। আগে দু’টো কুকুর ছিল। এখন চার। ছোটবেলায় মা-বাবা দু’জনেই চাকরি করতেন। মা তো একদম কুকুর পুষতে চাইত না। বাবা একবার একটা পমেরেনিয়ান এনে দিয়েছিল। ও চলে যাওয়ার পর আর কুকুর পোষা হয়নি। পরে যখন নিজে উপার্জন শুরু করি তখন অবার নিয়ে আসি।

প্রথমে দুই তারপর ক্রমে চার হয়। আমার কুকুরদের নাম সিরাজ, টিকি, ফেনি আর কালহুয়া। ওরা গোল্ডেন রিট্রিভার, পুডল, পাগ আর চাউ চাউ প্রজাতির। অতিমারি সত্যিা আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে কিন্তু কিছু ভালও করেছে। আমাদের জীবনে সবই ছিল শুধু সময়টা একদম ছিল না কারওর। পরিবার হোক বা পোষ্যর কারও সঙ্গে সময় কাটাতে পারিনি। করোনাকাল সেই সময়টা আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। গোটা লকডাউনে আমি আমার টালিগঞ্জের বাড়িতে আটকে পড়েছিলাম।

বাবা-মা লেকটাউনের বাড়িতে ছিল। আমিও যেতে পারিনি, ওরাও আসতে পারেনি। আমার এই চার পোষ্যত ছিল এই সময় আমার সর্বক্ষণের সঙ্গী। ওদের দেখাশোনা করার লোক আছে, কিন্তু এই সময়টা আমি নিজে ওদের দেখাশোনা করেছি। আর ওরা আমাকে। এত বছরে কখনও ওরা আমাকে এই ভাবে পায়নি, তাই ভীষণ আহ্লাদে থাকত। বাইরে নিয়ে বেরিয়েছি। বাড়ির সামনে নিয়ে ঘুরিয়েছি। ওদের খাওয়া-দাওয়ার খেয়াল রেখেছি। সময় কখন কেটে গেছে বুঝিনি।

Advertisement