ছোটবেলা থেকেই খেলার কারণে কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ। এর পর ঢাকুরিয়ায় থাকতে শুরু করি আমি। প্রথম দিকে কলকাতা আসা একটা বিরাট ব্যাপার ছিল। ভিড় ট্রেনে চেপে আসা, তার পর অনুশীলন শেষ করে ফিরে যাওয়া বেশ কঠিন ছিল। অনেক দিন এমন হয়েছে বালিগঞ্জ থেকে ট্রেনে ভিড়ের জন্য উঠতে পারিনি। এর পর আমি কলকাতায় থাকতে শুরু করি। ঢাকুরিয়া অঞ্চলটা দীর্ঘ দিন ধরেই আমার ভাল লাগত। এখানেই থাকতে শুরু করি।
ভিক্টোরিয়া আর ক্যাফে একান্তে আমার সবচেয়ে প্রিয়
প্রথম দিকে কলকাতা আসা একটা বিরাট ব্যাপার ছিল। ভিড় ট্রেনে চেপে আসা, তার পর অনুশীলন শেষ করে ফিরে যাওয়া বেশ কঠিন ছিল।
মেহতাব হোসেন, প্রাক্তন ফুটবলার।
এই শহরটা অনেক বদলে গিয়েছে। আগে এত পরিষ্কার রাস্তাঘাট ছিল না। সন্ধ্যার পর এত আলো দেখে খুব ভাল লাগে। ভিক্টোরিয়া সবসময়ই আমার প্রিয় জায়গা। এখনও যাই মাঝেমধ্যে। দক্ষিণ কলকাতায় থাকলেও আমি কিন্তু নিউটাউনে ‘ক্যাফে একান্তে’তে যাই পরিবারের সকলকে নিয়ে। দারুণ লাগে এখানকার পরিবেশ। এ ছাড়াও আমার পছন্দের কিছু রেস্তোরাঁ আছে। নিয়মিত সেই সব জায়গায় খেতে যাই। তবে এখন আর নিয়মিত ট্রেন, বাসে চড়া হয়ে ওঠে না। সেই ভিড়, সেই ফটাস জল, ঝাল মুড়ি, বন্ধুদের সঙ্গে একসঙ্গে যাওয়া, গল্প খুব মিস করি। ঢাকুরিয়ায় অনুশীলন সেরে যে দোকানে খেতাম সেই দোকানটা বন্ধ হয়ে সেখানে ফ্ল্যাট হয়ে গিয়েছে। তবুও আমরা বন্ধুরা মাঝেমাঝেই ওই অঞ্চলে আড্ডা দিই।
কলকাতা সবসময়ই ভারতের অন্যান্য সমস্ত শহরের থেকে অনেক এগিয়ে। এখানে কত ধরনের মানুষ মিলেমিশে থাকেন। এখানে একটা আলাদা শান্তি থাকে সবসময়। এটাই থাকুক, সবসময়ই চেয়ে এসেছি। কলকাতা শহরের দূষণ কিছুটা কমানো দরকার। এটা আমার মনে হয়েছে। আশা করব এটা সরকার বিচার করে দেখবেন।