Follow us on

Download the latest Anandabazar app

© 2021 ABP Pvt. Ltd.

Advertisement

২২ নভেম্বর ২০২৪ ই-পেপার

কলকাতা আমার কাছে সব কিছু, একে ছেড়ে থাকা সম্ভব নয়

এখনও কোনও কাজে বেশি দিন শহরের বাইরে থাকলেই মন খারাপ হয়ে যায়।

অলোক মুখোপাধ্যায়
কলকাতা ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৪:৪৭
ফাইল চিত্র


ফাইল চিত্র

আমি ইছাপুরের ছেলে। এখন ইছাপুরে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও প্রায় ৪০ বছর আগে সেই এলাকা ছিল গণ্ড গ্রাম। পুজোয় ঠাকুর দেখা কিংবা আত্মীয় স্বজনের বাড়ি যাওয়ার জন্য কলকাতা গেলেও, নিয়মিত যাতায়াত কিন্তু ফুটবল খেলার সুবাদেই হয়েছিল। পূর্ব রেলে প্রথম খেলার সুযোগ পাই। শুরুর দিকে রোজ যাতায়াত করতাম। তবে বড় দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকে বালিগঞ্জের একটি মেসে থাকতে শুরু করি। কিছু দিন অবশ্য শিয়ালদহের হোটেলেও থেকেছি। যদিও সেখানে বেশি দিন থাকা হয়নি। এর পর লেক গার্ডেন্সে ফ্ল্যাট নিয়ে থাকতে শুরু করি।

সেই ১৯৮৬ সালে মোহনবাগানে খেলার সময় থেকেই লেক গার্ডেন্সে ছিলাম। আমাদের পাড়ায় একাধিক সেলিব্রেটি ছিলেন। মাধবী মুখোপাধ্যায় ওখানে থাকতেন। রঞ্জিত মল্লিকের শ্বশুরবাড়িও ওখানে ছিল। শুধু নিজের খেলাধূলার জন্য নয়, এর ফলে ছেলেদের লেখাপড়ার জন্যও অনেক সুবিধা হয়েছিল। গ্রাম থেকে এলেও কলকাতা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে।

Advertisement

আর যদি আমার শহরের দর্শনীয় স্থান বলেন তা হলে আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হল কালীঘাট মন্দির। একটা সময় আমাদের খারাপ সময় চলছিল। তখন আমি আর প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি সপ্তাহে মন্দিরে পুজো দিতে যেতাম। লকডাউনের সময় বাদ দিলে এখনও মন্দিরে যাই। তা ছাড়া ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তো আছেই।

সব মিলিয়ে কলকাতা আমার কাছে সব কিছু। জাতীয় দল ও ৩ প্রধানে খেলার সুবাদে রাজ্যের বাইরে ও বিদেশে জীবনের অনেকটা সময় কাটাতে হয়েছে। তবে এই শহরকে সবসময় মিস করেছি। এখনও কোনও কাজে বেশি দিন শহরের বাইরে থাকলেই মন খারাপ হয়ে যায়। সব কাজ দ্রুত মিটিয়ে আমার শহরে ফিরতে ইচ্ছা করে।

Advertisement