Follow us on

Download the latest Anandabazar app

© 2021 ABP Pvt. Ltd.

Advertisement

২২ নভেম্বর ২০২৪ ই-পেপার

‘কলকাতা সকলকে আপন করে নিতে পারে’

মাঝে মাঝে মনে হয়, নতুনদের ভিড়ে পুরনো কলকাতা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে না তো?

দেবেশ রায়চৌধুরি
কলকাতা ০২ মার্চ ২০২১ ১২:৫৪

দেবেশ রায়চৌধুরী, অভিনেতা

আমি তো ঘুরে বেড়াতে ভালবাসি। লকডাউনে যেন দমবন্ধ হয়ে আসছিল। লকডাউন শেষ হতেই বেরিয়ে পড়েছিলাম। বীরভূমের লাভপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে চলে গিয়েছিলাম। কলকাতায় থাকতে যেমন ভালবাসি, সে রকমই ভালবাসি দূরদূরান্তের পথে বেরিয়ে পড়তেও। তবে গ্রামের পরিবেশেও এখন শহরের প্রভাব খুব বেশি। গ্রামের পরিবেশে এই নতুন হাওয়া আমার সবসময় ভাল লাগে না। কিন্তু কিছু করারও নেই।

তবে যেখানেই যাই না কেন, যত দিনই থাকি না কেন, কলকাতার কথা খুব মনে পড়ে। আসলে আমাদের শহরের গ্রহণযোগ্যতা খুব বেশি। সকলকে আপন করে নেয়। এর ভাল দিকের মতো মন্দ দিকও আছে। মাঝে মাঝে মনে হয়, নতুনদের ভিড়ে পুরনো কলকাতা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে না তো?

সেই পুরনো কলকাতা, যেখানে আমি ঘুরে বেড়াতাম শহরের অলিগলি। বিশেষ করে উত্তর কলকাতা আমার খুব প্রিয় ছিল। এক সময় সেখানে দেদার খেয়েছি চপ আর মিষ্টি। উত্তরের বিখ্যাত কচুরি আর ডালের কম্বিনেশনও আমার খুব প্রিয়। এখন তো শহরজুড়ে হরেক রেস্তরাঁ। সেখানে রকমারি স্বাদ। কিন্তু কেন জানি না, আগের উত্তর কলকাতার খাবার থেকে পাওয়া সেই স্বাদ এখন আর খুঁজে পাই না।

Advertisement

তবে কলকাতার আন্তরিকতা কিন্তু এখনও নিখাদ। আমাকে তো পাড়ার মাসিমা-কাকিমারা ডেকে খাওয়ান। হয়তো তাঁদের হেঁসেলের সাধারণ খাবার। কিন্তু এই হঠাৎ পাওয়া নিমন্ত্রণগুলোই মন ছুঁয়ে যায়।

এখন আমরা খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। ব্যস্ততার ছাপ পড়ে জীবনের সর্বত্র। কলকাতাবাসীর জীবনযাত্রারও আকাশপাতাল পরিবর্তন হয়েছে। সত্যি কথা বলতে কী, বাঙালি আগে যে জিনিস ভালবাসত, এখন সেটা আর তার ভাল লাগে না। সে মজেছে অন্য মজায়। অতীতের উপভোগ্য পাল্টে গিয়েছে।

কলকাতার আড্ডাও আমার খুব প্রিয়। কাজের সূত্রে বা বাইরে বেড়াতে গেলে সেই আড্ডা খুব মিস করতাম। এক সময়ে দেদার আড্ডা দিয়েছি। এখনও আড্ডা দিই। কিন্তু আড্ডাতেও সেই পুরনো স্বাদ ফিরে পাই না। এখন সবই যেন কেমন ভাসা ভাসা।

Advertisement